তিনটি নতুন প্রডাক্ট আনল সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড

নববর্ষ ও করোনাকালীন মানুষের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে তিনটি নতুন প্রডাক্ট নিয়ে এসেছে সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড। এগুলো হলো এসএমবিএল নারীশক্তি, এসএমবিএল প্রযুক্তি ঋণ ও এসএমবিএল সৈনিক ভবিষ্যৎ। সীমান্ত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাংকটির শীর্ষ নির্বাহী মুখলেসুর রহমান।
এসএমবিএল নারীশক্তি: গ্রামবাংলার সাহসী নারীদের আত্মনির্ভর করতে সীমান্ত ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ ‘এসএমবিএল নারীশক্তি’। গ্রামবাংলার যেকোনো নারী যারা ন্যূনতম তিন মাস কোনো অর্থ উপার্জনের কাজে জড়িত আছেন এবং বয়স ২২-৫০ বছর, তারা ফসলচাষ, হাঁস-মুরগির খামার, মৎস্য ও গবাদি পশুপালন, হস্তশিল্প, টেইলারিং, পার্লার, বুটিক শপ ইত্যাদি কাজের জন্য সহজশর্তে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এ ঋণের ক্ষেত্রে কোনো জামানতের প্রয়োজন নেই। ঋণগ্রহীতারা শাখার মাধ্যমে সেবা গ্রহণের পাশাপাশি একটি বিশেষ ডেবিট কার্ড পাবেন, যার মাধ্যমে তারা এটিএম এবং পিওএস মেশিনের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করতে সক্ষম হবেন।
এসএমবিএল প্রযুক্তি ঋণ: কভিড-১৯-এ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সহজ করার জন্য সীমান্ত ব্যাংক এসএমবিএল প্রযুক্তি ঋণ নামের এ প্রডাক্ট চালু করেছে। ২২-৬০ বছর বয়সী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, স্থপতি, প্রকৌশলী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বিজিবি সদস্যরা ৩০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, মোবাইল ফোন, ট্যাব, স্ক্যানার, প্রিন্টার, আইপিএস এবং আনুষঙ্গিক সামগ্রী ইত্যাদি এ ঋণের মাধ্যমে ক্রয় করা যাবে।
এসএমবিএল সৈনিক ভবিষ্যৎ: বিজিবি সৈনিকদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় দ্বিগুণ করার উদ্দেশ্যে সীমান্ত ব্যাংক নিয়ে এল এসএমবিএল সৈনিক ভবিষ্যৎ নামের প্রডাক্ট। এর মাধ্যমে এককালীন জমাকৃত অর্থ আট বছরে দ্বিগুণ, ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগযোগ্য, জমানো টাকার বিপরীতে ঋণ সুবিধা পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সীমান্ত ব্যাংকের এমডি মুখলেসুর রহমানসহ ব্যাংকটির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত চার বছরে ব্যাংকের ১৮টি শাখা চালু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে চারটি, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়টি, ময়মনসিংহ বিভাগে দুটি, খুলনা বিভাগে তিনটি, রংপুর বিভাগে একটি, সিলেট বিভাগে দুটি শাখা রয়েছে। সীমান্ত ব্যাংক আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবাকে প্রান্তিক সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় পৌঁছে দিচ্ছে এবং এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।