হারানো পরিচালক পদ ফিরে পেলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক এ এস এম ফিরোজ আলম
ঋণ খেলাপির অভিযোগে হারানো পরিচালক পদ ফিরে পেলেন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক এ এস এম ফিরোজ আলম। করোনাভাইরাসের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঋণ পরিশোধের তথ্য পৌঁছানো এবং সিআইবি রিপোর্ট হালনাগাদ হতে দেরি হওয়ায় খেলাপি তালিকায় নাম উঠে এস এম ফিরোজ আলমের। ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী ঋণ খেলাপি ব্যক্তি কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারেন না। সে অনুযায়ী মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক পদ হারান ফিরোজ আলম। সম্প্রতি এ ঋণ পরিশোধের তথ্য হালনাগাদ হওয়ায় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালক পদ ফিরে পান তিনি।
আজ বুধবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দা রেজওয়ানা বেগম স্বাক্ষরিত ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি চিঠি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আপনাদের চলতি ১৬ জুলাই তারিখে পত্র নং এমবিএল/বো.স./২৫o/২০২০ এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। ২৪ জুন ব্যাংকের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় নির্বাচিত এ এসএম ফিরোজ আলমকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে নিযুক্তিতে অনুমোদন দেয়া হলো।’ গত ৫ জুলাই ঋণখেলাপির দায়ে ফিরোজ আলম ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছিলেন।
সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয় এ এস এম ফিরোজ আলম এর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে খেলাপি ঋণ থাকায় ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ১৫ (৬) (উ) ধারা বিধান অনুযায়ী এস এম ফিরোজ আলমকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই।
সূত্র মতে, গত ২৪ জুন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) নির্বাচিত চারজন পরিচালক হিসেবে অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় ব্যাংকটি। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিনজনকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে অনুমোদন দেয়। এই তিনজনের মধ্যে রয়েছেন এ কে এম সাহিদ রেজা, আলহাজ মোশাররফ হোসেন এবং এম আমানউল্লাহ।
জানা গেছে, করোনার কারণে সিআইবি রিপোর্ট আপডেট না করায় তিনি খেলাপি ছিলেন। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক এটি সংশোধন করলে মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেকে ফিরোজ আলমকে পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য ১৬ জুলাই সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আজ ২২ জুলাই এটি অনুমোদন দেন।
শিল্পপতি এ এস এম ফিরোজ আলম ব্যাংকিং এবং লিজিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি প্রিমিয়ার লিজিং সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং টয়ো সিস্টেম বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যবসার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তিনি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়ায় ‘শাহেদা গফুর ইব্রাহিম জেনারেল হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা করেন।