কভিড-১৯-এ ক্ষতিগ্রস্থ কোম্পানি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশে থাকতে সিটি ব্যাংকে আইএফসির অর্থায়ন
সিটি ব্যাংককে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠান আইএফসি। যার মাধ্যমে কভিড-১৯-এ ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে অর্থায়ন করা হবে।
আইএফসি ঋণ দিচ্ছে মূলত তাদের কভিড-১৯ বৈশ্বিক যে আট বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ সেই খাত থেকে। ফার্স্ট ট্র্যাক এই ফিন্যান্সিং প্যাকেজ তারা চালু করেছে মূলত কোম্পানিগুলো যাতে তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখতে পারে। কভিড-১৯-এর কারণে তারা বিনিয়োগ করছে ব্যবসায়ীদের পুঁজি ঠিক রাখতে। এই কাজে আইএফসি সারা বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির অঞ্চলের ব্যাংকগুলোকে দুই বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের সবখাত সচল রাখতে পারবে, এমনকি কর্মীদের বেতন-বাবদ ব্যয়ের বিষয়টি সমন্বয় করতে পারবে।
আইএফসির অর্থায়ন প্রসঙ্গে সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ‘সিটি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সামর্থ্য বৃদ্ধিতে এবং অফশোর ব্যাংকিং বিজনেসে আইএফসি বড় ভূমিকা পালন করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কভিড-১৯-এর জন্য গঠিত ডাব্লিউসিএস তহবিল থেকে আমরা যে অর্থ পাচ্ছি, তার মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের প্রয়োজনে আরো বেশি পাশে থাকতে পারবো। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বর্তমান প্যানডেমিকের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার যে চাহিদা ছিলো, দেশের বাইরে থেকে আমরা আনতে পারায় সেই তারল্য সংকট কেটে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সাল থেকে আইএফসি সিটি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার। এবার তারা যে অর্থায়ন করছে, সেই প্যাকেজের আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল, ট্রেড ফিন্যান্স ও বৈদেশিক অর্থ বিনিময় প্রভৃতি বিষয়ে কাজ হবে। যা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে সিটি ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট।
বর্তমান অর্থনৈতিক উদ্যোগ প্রসঙ্গে আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল) ওয়েন্ডি জোওয়ার্নার বলেন, ‘আমরা দেখছি বর্তমান অবস্থায় প্রথমেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাই তাদের ব্যবসা রক্ষা করতে এবং আর্থিক ক্ষতি কমিয়ে আনতে তাদের পাশে থাকতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক দুর্যোগের মধ্যে নগদ অর্থ প্রবাহে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আইএফসির ফার্স্ট ট্র্যাক কভিড-১৯ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে সিটি ব্যাংক তা কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং তাদের সমস্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পারবে।’
সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ ও আইএফসির বাংলাদেশের সিনিয়র কান্ট্রি অফিসার নুজহাত আনোয়ার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন।