দারিদ্র্য বিমোচনে দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

দারিদ্র্য বিমোচনে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চলমান প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থ হিসেবে ২৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে সংস্থাটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। এ অর্থ ব্যয় করে দেশের সামাজিক নিরাপত্তায় চলমান বিভিন্ন কর্মসূচির সমতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এ ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
সোমবার সংস্থার ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক সূত্র জানায়, সংস্থাটির সহায়তা নিয়ে অতিদরিদ্রদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৩ সালে এ প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার সহায়তা অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাংক। নতুন করে আরো সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় এ প্রকল্পে সংস্থাটির সহায়তা ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারে উন্নতি হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রায় ৯০ লাখ অতিদরিদ্র পরিবার প্রকল্পটির সুফল পাবে। তা ছাড়া দেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে চলমান বড় আকারের কয়েকটি কর্মসূচির দক্ষতার উন্নতিতে কাজ চলছে প্রকল্পের আওতায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে।
বিশ্বব্যাংকের অপারেশন্স ম্যানেজার রাজশ্রী পারালকার এ বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছর বাংলাদেশের সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। দেশটি মোট দেশজ আয়ের (জিডিপি) প্রায় এক দশমিক ৪০ শতাংশ অর্থ এ খাতে ব্যয় করে থাকে। প্রকৃত দরিদ্রদের চিহ্নিত করে কার্যকরভাবে সামাজিক নিরাপত্তায় কাজ করলে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি সরকারি সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা বাড়বে।
বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলমান প্রকল্পটির আওতায় সামাজিক নিরাপত্তার সব কার্যক্রম একটি প্রবাহরেখায় আনা হবে। সুবিধাভোগী নির্বাচন ও তথ্য ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা হবে সমান্তরাল ফ্ল্যাটফর্ম। তা ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অর্থ ছাড়ে ডিজিটাল লেনদেন চালু করা হবে প্রকল্পটির আওতায়।
প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের প্রথম সামগ্রিক দারিদ্র্য তথ্যভাণ্ডার জাতীয় খানা তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
তুলনামূলক নমনীয় শর্তে ঋণদানে সহায়ক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে বিনা সুদে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ঋণের রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ছয় বছর। রেয়াতকাল পরবর্তী সময়ে উত্তোলন করা অর্থের জন্য শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সেবামূল্য পরিশোধ করতে হবে। ঋণ পরিশোধে মোট ৩৮ বছর সময় পাবে সরকার।