অনলাইনভিত্তিক সরকারি ক্রয় বা ই-জিপির সক্ষমতা বাড়াতে ৩৪০ কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

অনলাইনভিত্তিক সরকারি ক্রয় বা ই-জিপির বিদ্যমান প্রকল্পের সক্ষমতা আরও বাড়াতে বাংলাদেশকে নতুন করে ৪ কোটি মার্কিন ডলার (প্রায় ৩৪০ কোটি টাকা) ঋণসহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। গতকাল সংস্থাটি এ সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট নামক প্রকল্পের (ডিআইএমএপিপি) আওতায় সব ধরনের সরকারি ক্রয়ে ই-জিপি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
করোনা ভাইরাসের মতো পরিবর্তিত পরিস্থিতির চাহিদার আলোকে ই-জিপির প্রসারে নতুন এ অর্থায়ন সুবিধা দেবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ই-জিপি পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র, যোগাযোগ, ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট, ইলেকট্রনিক কনট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট ও অর্থ পরিশোধ, ক্রয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ, জিও ট্যাগিংসহ বেশকিছু নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ঢাকায় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি টেম্বুন বলেন, করোনার সময় সবকিছু বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ই-জিপি বড় ভূমিকা রেখেছে। নতুন করে এই অর্থায়ন ই-জিপির শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। নতুন অর্থায়নের ফলে বিদ্যমান প্রকল্পের মেয়াদ দেড় বছর বেড়েছে। এছাড়া প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের মোট অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৯ কোটি ডলার।