দলীয় দায়িত্ব পেলে জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনার জন্য কাজ করবো
আব্দুর রহমান, (নেত্রকোনা):
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগকে সু-সুংগঠিত করতে চান নেত্রকোনা সরকারী কলেজের সাবেক নিবার্চিত ভিপি শাহীন উদ্দিন আহমেদ (ভিপি শাহীন)।
পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংগ্রহণ করায় জন্মের পর থেকেই দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে লালন করে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেই সাথে পিতা মুক্তিযোদ্ধা ঈসমাইল উদ্দিন আহমেদ মহকুমা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, মাতাও ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা।
তাই আপাদমস্ত আওয়ামী রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই পরিবারের জন্মগ্রহণ করা ভিপি শাহীন উদ্দিন নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শের মাধ্যমে সু-সংগঠিত করতে দেড়যুগেরও বেশি সময় পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন।
ভিপি শাহীন একান্ত স্বাক্ষাতকারে এই প্রতিবেদককে জানান, নেত্রকোনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়নি এবং যারা বিভিন্ন সময় নানা অপকৌশলে নেতৃত্বে এসেছেন তারা কেউ মুক্তিযুদ্ধকে হৃদয়ে লালন করেন না। ফলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের এই সরকার দীর্ঘ সময় একাধারে ক্ষমতায় থাকার পরও প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবারগুলোতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়নি।
এবারের সম্মেলনকে ঘিরে প্রকৃত আওয়ামী পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের পরিবার গুলো স্বপ্ন দেখছেন নতুন নেতৃত্বের। যা আগামীতে দেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আরোও উজ্জিবিত করবে।
ভিপি শাহীন নেত্রকোনা আনজুমান আর্দশ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি। তার পর থেকে আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে ৯০ এর দশকে সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক,পরবর্তীতে কলেজ ছাত্র সংসদ নিবার্চনে (১৯৯৪-৯৫ সেশনে) ভিপি হিসেবে বিপুল ভোটে নিবার্চিত হন।
তৃণমূল ছাত্র সমাজসহ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ছাত্র নেতা হিসেবে ভিপি শাহীন ছিলেন ব্যপক জনপ্রিয়। পরে নেত্রকোনার রাজনীতিক অঙ্গণের সিংহ পুরুষ জেলা আওয়ামীলীগের সু-দীর্ঘ সময়ের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ফজলুর রহমান খানের একান্ত সহচর হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে নেতৃত্বদেন ভিপি শাহীন।
পরবর্তীতে জোট সরকারের আমল সহ সকল আন্দোলন সংগ্রামের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আওয়ামীলীগ সু-দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পরও ত্যাগী এই ছাত্রনেতার মূল্যায়ন হয়নি। তাই ভিপি শাহীন বলেন, দল ক্ষমতায় আসার পর কয়েকবার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়েছে আমাকে সদস্যও রাখা হয়নি।
এবারের সম্মেলনে যদি আমাকে দলীয় দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে দলকে সু-সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করবো। তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগীতা চেয়েছেন।