শিরোনাম

South east bank ad

সেবা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টায় রয়েছে ডিএমপি

 প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরবাসীর ভালোবাসা এবং সহযোগিতা ছাড়া ৩০-৩২ হাজার পুলিশ দিয়ে রাজধানীর ২ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়। নগরবাসী সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করলে অবশ্যই কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়া সম্ভব।

এক্ষেত্রে আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নগরবাসীর প্রত্যাশা ডিএমপির কাছে যতটা ছিল, ততটা হয়তো ডিএমপি পূরণ করতে পারেনি। কিন্তু সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে নগরবাসীর কাক্সিক্ষত সেবা দেওয়ার জন্য। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর পুলিশের প্রধান ডিএমপির বড় অর্জন প্রসঙ্গে বলেন, জঙ্গি দমনে ডিএমপির সফলতা সারা বিশ্বে স্বীকৃত। এছাড়া ঢাকায় যত আন্তর্জাতিক ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে, এর প্রত্যেকটি শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। বিশ্বকাপসহ প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ডিএমপি সাফল্য দেখিয়েছে। ডিএমপির সক্ষমতা বেড়েছে। নগরীতে অপরাধ করে অপরাধী নিশ্চিন্তে বসে থাকবে, সেটার

ক্ষেত্র খুবই সংকুচিত করতে পেরেছে ডিএমপি। তবে রাতে কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অনেক সময় রিকশায় যাওয়ার সময় নারীদের হাতব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায়। তবে মানুষ একটু সচেতন হলে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যে কোনো অপরাধের রহস্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উদঘাটনে ডিএমপির ৯০ ভাগ সফলতা রয়েছে।

পুলিশ সদস্যদের ডোপটেস্ট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, পুলিশের কিছু সদস্য মাদকে আকৃষ্ট হয়েছে। তারা ব্যারাকের অন্য পুলিশ সদস্যের কাছে মাদক বিক্রির চেষ্টা করছে। প্রথমে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ডেকে মাদক সেবনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। কিন্ত তারা অস্বীকার করেন। তাদের এ-ও বলা হয়েছে- যদি কারও সংস্পর্শে এসে কেউ মাদক সেবন করে তা হলে স্বীকার করে প্রয়োজনে ছয় মাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

চিকিৎসা নিয়ে মাদকমুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্ত কেউ-ই মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেনি। পরে ডোপ টেস্ট শুরু হয়। ডোপটেস্টে এ পর্যন্ত কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পর্যন্ত ১১৩ পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ১০৬ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাকি সাতজনের চাকরি যাওয়ার পর্যায়ে। যাদের চাকরি গেছে, তাদের নজরদারিতে রাখতে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে বলা হয়েছে। কারণ, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। যে কোনো ধরনের অপরাধ করতে পারে। তাই তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট করার প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, ইউনিট ইনচার্জকে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের নজরদারিতে রাখতে বলা হয়েছে। ইউনিট ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তাকে মাদকাসক্ত বলে সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি অবহিত করবেন। তখন ওই কর্মকর্তার ডোপ টেস্ট করানো হবে। অফিসারদের আচরণ দেখতে আমাদের একটি বিভাগই রয়েছে।

ডিএমপিকে আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপির সাইবার ইউনিটকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ডিবিতে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকবে। এর মাধ্যমে অপরাধীর কোনো একটি তথ্য পেলেই অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে। অপরাধীর পোশাকের ছেঁড়া কোনো অংশ, কোনো কাগজের টুকরো এমনকি তার মোটরসাইকেল বা গাড়ি নম্বর পেলেও শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি নগরীতে অপরাধপ্রবণ এলাকা সিসি ক্যামেরায় আওতায় আনা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

পুলিশ কমিশনার বলেন, অপরাধ করে মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেলে, সে ঢাকার কোথায় যাচ্ছে তা ক্যামেরা জানিয়ে দেবে। এ ছাড়া ছিনতাইকারীর বিভিন্ন রকমের ছবি ক্যামেরায় সংযুক্ত করে রাখা হবে, যাতে সে রাস্তায় বের হলেই সিসি ক্যামেরা জানিয়ে দেবে পুলিশকে। এ পর্যন্ত ক্রাইম স্পট হিসেবে চিহ্নিত ১০০ জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাদক কারবারিরা এখন কাট-আউট পদ্ধতিতে বেচাকেনা করে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, মাদক মামলার তদন্তে রুট লেভেল পর্যন্ত যাওয়ার সফলতা কমই রয়েছে। কারণ যারা মাদক আনে তারা এক ধাপের ব্যক্তি আরেক ধাপকে চেনে না। অ্যাপসের মাধ্যমেও মাদক বেচাকেনা হচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিভাবকদের সতর্ক হতে হবে। তাদের সন্তানদের প্রতি নজর রাখতে হবে।

মহানগরের অন্যতম সমস্যা যানজট সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, রাস্তার সংখ্যা বাড়াতে না পারলে যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। প্রতিদিন ৩০০’র কাছাকাছি নতুন যানবাহন ঢাকার রাস্তায় যুক্ত হয়। আবার প্রতিটি রাস্তায় কম-বেশি উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। এতেও যানজট হচ্ছে

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: