শিরোনাম

South east bank ad

প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একশ ইকোনমিক জোনের কাজ এগিয়ে চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

 প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে সফররত মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। দেশটির প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রি এবং কমোডিটি বিষয়ক মন্ত্রী দাতুক হাজাহ জুরাইদা বিনতে কামারুদ্দিন ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

সভায় টিপু মুনশি বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য এফটিএ স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশের আলোচনা অনেক এগিয়েছে। মালয়েশিয়া এগিয়ে এলে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব।

তিনি বলেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হালকা যন্ত্রপাতি ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য মালয়েশিয়ায় রফতানি করছে। বাংলাদেশ ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০৬.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য মালয়েশিয়ায় রফতানি করেছে। একই সময়ে ১ হাজার ৫৭৬.৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। মালয়েশিয়ার পামওয়েল, ফার্নিচার, চকলেট ও ফলমূলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের বাংলাদেশে প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে এসব পণ্যের কারখানা স্থাপন করলে অধিক লাভবান হবে। এখানে প্রচুর দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। ফলে কম খরচে এসব পণ্য উৎপাদন করা সম্ভব।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ পামওয়েল বাংলাদেশ আমদানি করে থাকে। চলমান ভোজ্যতেলের বিশ্বমূল্য পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া পামওয়েলের মূল্য কমালে বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ থাকবে।

বাংলাদেশের ফার্নিচার শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টারখ্যাত রাজ্যগুলোতে প্রচুর ফার্নিচারের চাহিদা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষের পথে। এখানে মালয়েশিয়া ফার্নিচার ও কৃষিপণ্য প্রসেসিংসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পখাতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে।

সফররত মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন, ইন্ডাস্ট্রি এবং কমোডিটি বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার বন্ধুরাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ। উভয় দেশের চলমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়ার ফার্নিচার, রাবারজাত পণ্য, চকলেট ও শুকনো খাদ্যপণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে রয়েছে। উভয় দেশ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে আগ্রহী।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: