ত্রিশালের মহাসড়কে বালু জমিয়ে রেখে ব্যবসা করায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা
ত্রিশাল প্রতিনিধি
রাস্তায় ফেলে রাখা লালবালু আর অতিরিক্ত মালবোঝাই বালুর ট্রাক এখন ময়মনসিংহের মানুষের কাছে যেন মৃত্যু আতঙ্কের এক নাম। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ ঘেষে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বেআইনিভাবে এসব বালু জমিয়ে রেখে ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট।
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বালির ট্রাক ও পরে থাকা বালিকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনাও। ফলে দিনকে দিন ক্ষতিগ্রস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক।
অবশেষে বিষয়টি নজরে এসেছে প্রশাসনের। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চালানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার দরিরামপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আক্তারুজ্জামান।
অভিযানে গিয়ে তিনি ওই স্থানে দেখতে পান মহাসড়কের পাশেই স্তুপ করে ফেলে রাখা হয়েছে বালু। এসময় মহাসড়কে বেআইনিভাবে বালু ফেলে জমিয়ে রাখার অপরাধে একজনকে ১০ হাজার ও অপর বালু ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন তিনি। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে মহাসড়কের পাশ থেকে এসব বালু অপসারণের নির্দেশও দেন।

সড়ককে নিরাপদ রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি ময়মনসিংহ থেকে ভালুকা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে বালু ফেলে রাখা হচ্ছে এবং এ কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনাও ঘটছে। এ কারণেই জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা এখানে এসে দেখতে পেয়েছি, নেত্রকোনার সুমেশ্বরী নদী থেকে অতিরিক্ত বালুবোঝাই ট্রাক এসে ময়মনসিংহ শহর পেরিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অতিরিক্ত বালু আনলোড করে। পরে অন্য ট্রাকে সেগুলো আবার লোড করে নিয়ে বিক্রি করা হয়। এতে করে তারা একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ বা রাস্তা অবরোধ করে রাখছে তেমনি আইন ভঙ্গ করছে৷
মো. আক্তারুজ্জামান আরও বলেন, এ কারণে অভিযান পরিচালনা করে সড়ক পরিবহন আইনে দুই ব্যবসায়ীকে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও বালু অপসারণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একইসঙ্গে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি আমাদের এ অভিযান নিয়মিত চলবে।