কচুরমুখির ভেতরে ইয়াবা পাচারের অভিনব কৌশল
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আট বোনের ভয়ংকর সিন্ডিকেট। সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। অভিনব কায়দায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সবজির আড়ালে কচুরমুখির ভেতরে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা পাচার করতো। তাদের পাচারের কৌশল মুভিকেও হার মানায়।
তবে এতকিছু করেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। ইয়াবা পাচারকালে তিন বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ও মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ নানান আলামত। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৬ লাখ টাকা।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাতে গ্রেফতার তিন বোনকে হাটহাজারী মডেল থানায় থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুধু তিন বোনই নয়, র্যাব জানিয়েছে পরিবারের আট বোনই ইয়াবা কারবারের বড় একটি সিন্ডিকেট।
গ্রেফতার ইয়াবা কারবারিরা হলো- ফাতেমা বেগম প্রকাশ আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেফতার তিন বোনের মধ্যে ফাতেমা মাদক কারবারি ও পাচারের মূলহোতা। তারা মোট আট বোন। সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেন মনে করেন পরিবারের সদস্যরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছেন।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা মাদক বহনে অত্যন্ত দক্ষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমস্ত চেকপোস্ট এড়াতে একটি অন্য পথ অনুসরণ করে ইয়াবা পাচার করতেন। কক্সবাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত আসার পর পুলিশ ও অন্যান্য চেকপোস্ট এড়াতে ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করতেন।
পরে তারা সবাই সাতকানিয়ার কেরাণিরহাটে এসে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যেতেন। একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করত, অন্যটি কেরাণিরহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করতো এবং হাটহাজারী পর্যন্ত কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই পৌঁছাত। প্রথমে তারা কচুরমুখির ওপরের অংশ কেটে ভেতরে খালি করে পলিথিন ব্যাগে ইয়াবা মুড়িয়ে রাখতেন। তারপর টমেটোসহ অন্যান্য শাকসবজি ব্যাগে উঠিয়ে নিতেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে স্বল্পমূল্যে ইয়াবা কিনে পরে তা বেশি মুনাফায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের কাছে পাচার করে আসছেন। তারা সবসময়ই নতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, র্যাব সদস্যরা গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাতে গ্রেফতার তিন আসামিকে থানায় হন্তান্তর করে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আট বোনের ভয়ংকর সিন্ডিকেট। সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। অভিনব কায়দায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সবজির আড়ালে কচুরমুখির ভেতরে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা পাচার করতো। তাদের পাচারের কৌশল মুভিকেও হার মানায়।
তবে এতকিছু করেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি। ইয়াবা পাচারকালে তিন বোনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১৮ হাজার ৬০০ পিস ইয়াবা ও মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকাসহ নানান আলামত। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৬ লাখ টাকা।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাতে গ্রেফতার তিন বোনকে হাটহাজারী মডেল থানায় থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুধু তিন বোনই নয়, র্যাব জানিয়েছে পরিবারের আট বোনই ইয়াবা কারবারের বড় একটি সিন্ডিকেট।
গ্রেফতার ইয়াবা কারবারিরা হলো- ফাতেমা বেগম প্রকাশ আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২) ও আসমাউল হুসনা (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেফতার তিন বোনের মধ্যে ফাতেমা মাদক কারবারি ও পাচারের মূলহোতা। তারা মোট আট বোন। সবাই ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারা ইয়াবা পাচারের সময় ছোট বাচ্চা সঙ্গে রাখতেন, যাতে কেউ সন্দেহ না করে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেন মনে করেন পরিবারের সদস্যরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করছেন।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা মাদক বহনে অত্যন্ত দক্ষ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমস্ত চেকপোস্ট এড়াতে একটি অন্য পথ অনুসরণ করে ইয়াবা পাচার করতেন। কক্সবাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত আসার পর পুলিশ ও অন্যান্য চেকপোস্ট এড়াতে ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম-বিলছড়ি-লোহাগাড়া পথ অনুসরণ করতেন।
পরে তারা সবাই সাতকানিয়ার কেরাণিরহাটে এসে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যেতেন। একটি দল নিয়মিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অনুসরণ করত, অন্যটি কেরাণিরহাট-বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা-রাঙ্গুনিয়া রুট অনুসরণ করতো এবং হাটহাজারী পর্যন্ত কোনো বাধাবিঘ্ন ছাড়াই পৌঁছাত। প্রথমে তারা কচুরমুখির ওপরের অংশ কেটে ভেতরে খালি করে পলিথিন ব্যাগে ইয়াবা মুড়িয়ে রাখতেন। তারপর টমেটোসহ অন্যান্য শাকসবজি ব্যাগে উঠিয়ে নিতেন বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে স্বল্পমূল্যে ইয়াবা কিনে পরে তা বেশি মুনাফায় চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক কারবারিদের কাছে পাচার করে আসছেন। তারা সবসময়ই নতুন কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, র্যাব সদস্যরা শুক্রবার রাতে গ্রেফতার তিন আসামিকে থানায় হন্তান্তর করে। শনিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান ওসি।