বন্দর ও র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, ডিবির হাতেই ধরা
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বন্দরের বড় অফিসার, র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বাহিনীর বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিলাম শেডে থাকা গাড়ি বিক্রি করার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের দাবি, তারা দুইজন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মানুষ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।
গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরের বন্দর এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগ দুইজনকে গ্রেফতার করে।
গতাকল বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি ) বিকেলে নগরের মনসুরাবাদ মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আলী হোসেন।
তিনি বলেন, নগরের খুলশী এলাকার এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মাহবুব আলম ও মো. রমজান আলীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ও একটি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মাহবুব আলম বিভিন্ন জেলা শহরের বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজেকে কখনো বন্দরের বড় অফিসার, কখনো র্যাবের কর্মকর্তা, কখনো বাহিনীর বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে। বন্দরের অফিসার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে বন্দরে ভেতর তার অবাধ চলাচল সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে।
এরই সুযোগ নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের নিলাম শেডে থাকা গাড়ি বিক্রির নামে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মানুষের কাছ থেকে নগদ টাকা গ্রহণ করে প্রতারণা করতেন।
তিনি বলেন, মাহবুব আলম প্রতারণার টাকা-পয়সা নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য সবকিছু রেডি করেছিল। এর আগে আমরা তাকে গ্রেফতার করেছি। মাহবুব আলমের সহযোগী হিসেবে রমজান আলী কাজ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করা হয়েছে।