শিরোনাম

South east bank ad

সোমবার থেকে চলবে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন

 প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. নজরুল ইসলাম, (ময়মনসসিংহ):

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লাখো যাত্রীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে ময়মনসিংহ-চট্রগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আগামীকাল (১৪ফেব্রুয়ারি) সোমবার হতে ময়মনসিংহ-চট্রগ্রাম-ময়মনসিংহ এর মধ্যে চলাচলকারী ৭৮৬/৭৮৫ আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বর্তমান বাংলা রেক এর পরিবর্তে চাইনিজ সাদা রেক নিয়ে চলাচল করবে। অত্যাধুনিক এসব কোচে থাকছে ৬টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিও। ফলে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর প্রথমবারের মতো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগিতে চড়ে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ যাতায়াতের সুযোগ পাচ্ছেন এই রুটের যাত্রীরা। এর ফলে এই রুটের যাত্রীরা আরো উন্নত যাত্রীসেবা পাবেন বলে আশা করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

এতে থাকছে কিছু পরিবর্তন থাকছে চট্রগ্রাম থেকে ছাড়ার সময় সকাল ০৭ঃ২০ মিঃ এর পরিবর্তে সকাল ০৯ঃ০০ মিঃ করা হয়েছে। ময়মনসিংহ থেকে ছাড়ার সময় অপরিবর্তিত থাকবে রাত্র ০৮ঃ৩০ ঘটিকা। নতুন সাদা রেকে শোভন শ্রেণী থাকবে না। ময়মনসিংহ এবং চট্রগ্রাম উভয় প্রান্ত থেকেই সাপ্তাহিক বন্ধের দিন মঙ্গলবার।

রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটের বিজয় এক্সপ্রেসে চায়না কোচ প্রতিস্থাপনের প্রস্তাব পাঠাতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা-ব্যবস্থাপক বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। গত ২ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ের উপ-পরিচালক (মার্কেটিং) কালিকান্ত ঘোষ স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অবমুক্ত চায়না কোচ প্রতিস্থাপনের বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সদয় অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করা হয়।

দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে গত ৯ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চীফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট কার্যালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস অবমুক্ত চায়না কোচ দ্বারা পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ স্টেশনে চায়না কোচের সার্ভিসিং ও অন্যান্য রক্ষনাবেক্ষণে অসুবিধা থাকায় বিজয় এক্সপ্রেসের বেইজ স্টেশন চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়।

চায়না কোচ দ্বারা পরিচালিত বিজয় এক্সপ্রেসের স্ট্যান্ডার্ড কম্পোজিশন রাখা হয়েছে ১৪/২৮। দিনে ৬৪৭টি এবং রাতে ৬৩২টি আসন থাকছে এই ট্রেনে। ১৪টি বগির বিজয় এক্সপ্রেসে রাখা হচ্ছে ৬টি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, ৫টি শোভন চেয়ার কোচ, ১টি শোভন ক্লাস ডায়নিং কার এবং ১টি শোভন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ। চায়না কোচ প্রতিস্থাপনের আগে বিজয় এক্সপ্রেসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো কোচ ছিলে না।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) আনসার আলী জানান, চায়না কোচ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটের একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন বিজয় এক্সপ্রেসে নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে করে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম যাতায়াত করতে পারবেন এই রুটের যাত্রীরা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ যুক্ত হচ্ছে ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লাখো যাত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করে ২০১৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের উদ্দেশে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। বাসের চেয়ে তুলনামূলক স্বল্প খরচ, আরামদায়ক ও নিরাপদ হওয়ায় শুরু থেকেই আন্তঃনগর এই ট্রেনটি ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। তবে এতে এসি কোচ না থাকায় আক্ষেপ ছিলো যাত্রীদের। এখন চায়না কোচ সংযুক্তির মাধ্যমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বগি পেয়ে যাত্রীদের সেই আক্ষেপ ঘুচবে বলে মনে করছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু জানান, জনবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার রেলে আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানে বদ্ধ পরিকর। যার ধারাবাহিকতায় আধুনিক ৬টি এসি বহিসহ চাইনিজ বগি দিয়ে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির আধুনিকায়ন করায় ময়মনসিংহবাসীর পক্ষ থেকে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রেলমন্ত্রীসহ রেলওয়ে বিভাগের সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: