সরকারি আদেশে ‘শব্দগত ভুলে’ আইজিপির জার্মানি সফর নিয়ে বিভ্রান্তি
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদসহ তিন কর্মকর্তা নয়দিনের জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। এ সফরের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি সরকারি আদেশ (জিও) জারি করা হয়।
তারপর থেকে এ সফর নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। কিছু মাধ্যমে প্রচার হয়, আইজিপি বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতে এ সফরে যাচ্ছেন। যদিও পুলিশ সদর দপ্তরের তরফ থেকে বলা হয়, বিছানার চাদর কিনতে নয়, পুলিশ বাহিনীর জন্য এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কেনার প্রক্রিয়ায় রঙের মান যাচাইয়ে এ সফরে যাচ্ছেন আইজিপিসহ তিন কর্মকর্তা।
এই বিভ্রান্তি স্পষ্ট করে আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে ‘শব্দগত বিন্যাসের কারণে’ আইজিপির সফর নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কেনা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অর্থাৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুসরণ করেই এ ধরনের কেনাকাটা সম্পন্ন হয়ে থাকে। এসব ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনের সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইজিপির সফরকে কেন্দ্র করে যে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হয়েছিল, তাতেও অসাবধানতাবশত ভুল রয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে জিওটি পড়লে বোঝা যাবে, আইজিপি এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কাভার কিনতেই জার্মানি যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিও-এর শব্দগত বিন্যাসের কারণেই এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ থেকে জানা গেছে, আইজিপি বেনজীর আহমেদ ছাড়াও দুজন কর্মকর্তা জার্মানি যাচ্ছেন। তারা হলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দীন খলিফা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম। তারা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে নয়দিনের সফরে জার্মানি যাবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদারের সই করা ওই আদেশে বলা হয়, এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভারের (ডাবল) শিপমেন্টের জন্য (জাহাজীকরণ) ‘ফ্যাক্টরি অ্যাকসেপটেন্স টেস্টে’ অংশ নিতে তিন কর্মকর্তা এই সফরে যাবেন।
অফিস আদেশের শর্তাবলির মধ্যে রয়েছে, ওই পরিদর্শনমূলক সফরের সব খরচ আয়োজক বহন করবে এবং এর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক যোগ থাকবে না।