অপহৃত কলেজছাত্রকে ডিবি’র উদ্ধার
আব্দুর রহমান, (নেত্রকোনা):
নেত্রকোনার কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা পাঁচগাও থেকে বুধবার রাতে ডিবি পুলিশ নেত্রকোনা সরকারি কলেজের বিএ ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. কবির হোসেনকে(২০) উদ্ধার করেছে।
আজ (১০ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। কবির হোসেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার পারলা গ্রামের মো. রুস্তুম আলীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা আক্তার, নেত্রকোনা ডিবি’র ওসি রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্তিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদর উপজেলার পারলা গ্রামের রুস্তুম আলীর ছেলে মো. কবির হোসেন বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কলমাকান্দা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে সকাল ১০টার দিকে সীমান্তবর্তী পাঁচগাঁও এলাকায় গেলে পথে ৩- ৪জন মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করে ভয়ভীতি প্রদশন করে আকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
কবির হোসেনের সাথে থাকা ১০ হাজার টাকা এবং মোবাইল নিয়ে যায় মারধর করে। অপহরণকারীরা তাকে মারধর করে ও বাবা রুস্তুম আলীর কাছে মোবাইলে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। কবির হোসেনের বৃদ্ধ বাবা বিষয়টি ওইদিন বিকেলে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ সুপার ডিবি’র এসআই ফরিদ আহমেদকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহৃতকে উদ্ধারের ব্যাপারে নির্দেশ প্রদান করেন। ডিবি পুলিশ কৌশলে কলমাকান্দার বরুয়াকোনা গোনাপাড়া থেকে কবির হোসেনকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্র কবিরকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবা মার কাছে বুঝিয়ে দেয়।
অপহৃত কলেজছাত্র মো. কবির হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী গ্রামে বেড়ানোর জন্য স্বাধীন ইসলামের কাছে যাচ্ছিলেন। যাবার পথে কয়েকজন অপরিচিত লোক আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং আমাকে ঘরে আটকে রেখে ১০-১২জন মিলে মারধর করে। এ সময় বন্ধু এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করে ওরা। পরে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী জানান, অপহৃত কলেজছাত্রকে উদ্ধার করে বাবা মার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চালছে।