শিরোনাম

South east bank ad

সরকার’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে দুর্গাপুরের একটি পরিবার

 প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এস.এম রফিকুল ইসলাম রফিক, (নত্রকোনা):

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভিপি মোকদ্দমা ভূক্ত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক বে-আইনিভাবে স্থাপনা উত্তোলন করে দখলে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে স্থানীয় একটি পরিবার,পানছেনা সরকারী কোন নিয়মনীতি বা নিষেধাজ্ঞা।

বিবরণে প্রকাশ মৃত আমছর আলীর পুত্র মোঃ আহাম্মদ আলী(৮৫) ১৯৮০ ইং সনের ডিসেম্বর মাসের ১৮ তারিখ ১৩৬৯ স্মারকের আদেশমূলে এস.এ খতিয়ান ৬৬৩,১৮৯২ দাগে ৩২ শতাংশ। এস.এ খতিয়ান ৪৪৭,১৮৬৯ দাগে ৬ শতাংশ।

১৮৮৫ দাগে ১২ শতাংশ ও ১৮৯১ দাগে ১৫ শতাংশ মোট ৬৫ শতাংশ ভূমি সরকার বাহাদুরের কাছথেকে লিজ প্রাপ্ত হয়, যার মোকদ্দমা নং ২৮১/৬৮-৬৯। উক্ত ভূমি লিজ প্রাপ্তি হওয়ার পরথেকেই অর্থাৎ ৪২ বছর যাবত প্রতি বছর ডিসিআর প্রাপ্ত হয়ে আসছেন আহাম্মদ আলী। এই জমি দখলে নেয়ার জন্যে অপর একটি মহল উঠে পরে লেগেছে।
তিনি জানান অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওয়ারিশান দাবী করে ঐ জমি দখলের চেষ্টা চালায় এবং আমার নিকট টাকা দাবী করে।

আমি অপারকতা স্বীকার করলে তারা আমার লিজ নেওয়া সম্পতির বেড়া ভাঙ্গিয়া ও সিমানা খুটি উপরাইয়া নিয়া সেখানে বে-আইনভাবে চালাঘর উত্তোলন করেছে। একই গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর পুত্রদ্বয় আলমগীর মীর্ধা(৪৫),ফরহাদ মীর্ধ(৫০)ও খলিল মীর্ধা(৫২) এর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে সরকারী সম্পত্তিতে চালাঘর উত্তোলন করে দখল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা অর্থাৎ ইউএনও,এসি ল্যান্ড ও পুলিশ প্রশাসন বার বার চেষ্ঠা চালিয়েও সরাতে পারছেন না বে-আইনভাবে উত্তোলিত চালাঘর বা দখলকারীদের।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ আরিফুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন সরকারের জমি যাকে লিজ দেওয়া হয়েছে সন সন খাজনাদি পরিশোধ থাকলে তিনিই জমির অস্থায়ী মালিক, এখানে অন্যের দখল চেষ্টা বা মালিকানা বা ওয়ারিশান দাবী করার কোন সুযোগ নাই। ঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য লোক পাঠিয়ে খবর দিয়েছি, তাছাড়া ২২ জানুয়ারী শনিবার সারে ১২টার দিকে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে চালাঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে চুরান্ত বার্তা দিয়ে এসেছি।
অপরদিকে নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল আহসান বলেন বিষয়টি আমি অবগত আছি, যেহেতু এটি সরকারের সম্মত্তি সেইহেতু লিজগ্রহীতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।

গত ৩ ফেব্রুয়ারী এসি ল্যান্ড সাহেবের নির্দেশে ঐ অফিসের নায়েব ও একদল পুলিশ এর সহায়তায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ স্থাপনা আংশিক ভেঙ্গেফেলা হয়। কিন্তু ঐ দখলকারীরা পুনরায় আংশিক ভেঙ্গেফেলা স্থাপনা সংস্কার করে সরকার’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পূর্বের ন্যায় বসবাস করিতেছে বহাল তবিয়তে, এদের খুঁটির জোর কোথায় ? এ বিষয়ে ৭ ফেব্রুয়ারী সোমবার সহকারী কমিশনার(ভূমি)মোঃ আরিফুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমরা অতিসত্বর পুনরায় উচ্ছেদ পদক্ষেপ নেব।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: