শিরোনাম

South east bank ad

ময়লার ভাগাড়ে এখন সবুজের সমারোহ

 প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

মাদারীপুর সদর উপজেলার খাগদী এলাকায় শেখ হাসিনা মহাসড়কের পাশের পুরোনো সেই ময়লার ভাগাড়ে এখন উঁকি দিচ্ছে নানা ধরনের শাকসবজি।

জানা গেছে, একটা সময় ওই সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় ছিল। মাদারীপুর পৌর-শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে ফেলা হতো সেখানে। ভাগাড়ের দূষণ আর দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হতো সড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজারো মানুষসহ স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষকে বাধা দিলে তারা ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেন। এতে কয়েক বছরের ব্যবধানে বদলে যায় পুরো এলাকার পরিবেশ। ভাগাড়ের ভেতরে এবং আশপাশের ৬ শতাংশ জমিতে সারাবছর শাকসবজি চাষ হচ্ছে।

সরেজমিনে ময়লার ভাগাড়ে দেখা যায়, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লার ছোট ছোট স্তূপ। তার মধ্যদিয়ে উঁকি দিচ্ছে সবুজ শাকসবজি। দখিনা বাতাসের আলতো ছোঁয়ায় দুলতে থাকা সবজি যে কারও চোখ জোড়াবে। কোনো ধরনের সার বা পরিচর্যা ছাড়াই সবজির অধিক ফলন হচ্ছে। ময়লার ভাগাড়ে এমন সজীব সবজি চাষ দেখে মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। চাষ করা সবজি দিয়ে পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি অংশ স্থানীয় বাজারেও বিক্রি করছেন চাষিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা রহিমন নেছা বলেন, প্রতি বছরই আমরা এখানে সবজি চাষ করি। কিছু খাই আবার কিছু বাজারে বিক্রি করি। তাতে বাড়তি কিছু আয় হয় আমাদের। কিন্তু গত বছর বৃষ্টির কারণে ফলন তেমন ভালো হয়নি। আগে ময়লার দুর্গন্ধে আমরা ঘরে থাকতে পারতাম না। কিন্তু এখন এলাকার পরিবেশ বদলে গেছে।

এক পথচারী বলেন, একটা সময় এই সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা করা যেত না। ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ায় পুরো এলাকার পরিবেশ বদলে গেছে। তাছাড়া পুরোনো ময়লার স্তূপের মধ্যে এমন শাকসবজির চাষ দেখে অবাক হলাম।

ময়লার ভাগাড়ের ভেতর উৎপাদিত শাক-সবজি কতটা নিরাপদ তা জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। তিনি বলেন, এখানে যারা সবজি চাষ করছেন তারা কোনো রাসায়নিক সার প্রয়োগ করছেন না। ময়লার ভাগাড়ের বর্জ্য পঁচে তা জৈব সারে পরিণত হওয়ায় ফলন ভালো হচ্ছে। কিন্তু আমদের একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে কোনো কারখানার ভারী ধাতব পদার্থ এখানে ফেলা হয়েছে কিনা। কারণ সবজিতে মাত্রাতিরিক্ত ধাতব পদার্থ থাকলে তা থেকে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: