যশোরে ১২ পুলিশ পরিদর্শকের বদলি
গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর):
যশোরে ১২ পুলিশ পরির্দশককে খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি বিভিন্ন জেলায় ও অভ্যন্তরীণ বদলির আদেশ দিয়েছেন। রেঞ্জ ডিআইজির দপ্তর থেকে এক আদেশে সম্প্রতি বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে। এ সব পুলিশ কর্মকতা যশোরে দীর্ঘদিন যাবত চাকরি করায় তাদেরকে বদলীর আদেশ দেয়া হয় বলে জানাগেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, যশোর কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলমকে মাগুরা জেলায়, একই থানায় কর্মরত পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড কমিউনিটি পুলিশিং) শাহজাহান আহমেদকে বাগেরহাট জেলায়, নাভারণ সার্কেলে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক রোকিবুজ্জামানকে খুলনা জেলায়, যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আল ভূঁইয়াকে নড়াইল জেলায়, কেশবপুর থানায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সিকদার মতিয়ার রহমানকে চুয়াডাঙ্গা জেলায়, যশোর ডিএসবিতে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ফকির আজিজুর রহমানকে কুষ্টিয়া জেলায়, শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরির্দশক বদরুল আলমকে যশোর রির্জাভ অফিসে, বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খান কে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ, রির্জাভ অফিসের পুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেনকে বেনাপোল পোর্ট থানায়, বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেল সরোয়ারকে মণিরামপুর সার্কেলে, মণিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম রসুলকে পোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), যশোরের চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলামকে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও যশোর খ সার্কেলের পুলিশ পরিদর্শক আকিবুলকে চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহ যাবত খুলনা রেঞ্জ উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক দপ্তর থেকে উল্লেখিত পদ ও কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ দেয়া হয়। আগামি ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বদলিকৃতদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়েছে।
পুলিশের সূত্রগুলো বলেছে, বদলিকৃতরা যশোর জেলায় দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফলে প্রশাসনিক কারণে নিয়মানুযায়ী রদবদল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘যশোর কোতয়ালির (তদন্ত), শার্শা এবং বেনাপোল পোর্ট থানার ওসির বদলির সংবাদ আমার জানা আছে।
বাকিরদের তথ্য আমার কাছে এখনো পৌছায়নি। বদলির কারণ সম্পর্কে তিনি জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে উল্লেখিতরা সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেককে নির্দিষ্ট সময় পর স্টেশন ছেড়ে যেতে হবে।’