হৃৎপিণ্ডের ফুটো বন্ধ হলে বাঁচবে শিশু জান্নাত
মোঃ লিহাজ উদ্দিন, (পঞ্চগড়):
তিন বছর বয়সী শিশু নুসরাত জাহান জান্নাত। এ বয়সে সমবয়সী অন্য শিশুরা যখন ক্লান্তিহীনভাবে খেলাধুলায় মত্ত থাকে, তখন মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে জান্নাত।
শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথাসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয় তার। একমাত্র মেয়ের অসুস্থতা ঘিরে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় দরিদ্র এ পরিবারটি। পঞ্চগড় পৌর শহরের বানিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন জান্নাতের বাবা হোটেল শ্রমিক জুয়েল ও মা গৃহিণী মহছেনা খাতুন।
জানা যায়, দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে শিশুটির। এর জন্য শিশুটির অপারেশন প্রয়োজন। লাগবে মোটা অঙ্কের টাকা। চিকিৎসকের এমন কথা শুনে চিন্তায় পড়েন বাবা-মা। জুয়েল জানান, জন্মের পর জান্নাত স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে উঠছিল।
কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই সে অসুস্থ হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে দেখানো হয়। রোগ না সারায় প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পরে দিনাজপুর জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রফেসর ডা. মো. তরিকুল ইসলামকে দিয়ে দেখানোর পর পরীক্ষা-নীরিক্ষার হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র ধরা পড়ে।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে জান্নাতের সুস্থতার জন্য অপারেশনের কথা বলেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে দেড় লাখ টাকা। পরে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
চিকিৎসা না করাতে পারলে হয়তো মেয়েকে বাঁচাতে পারবেন না এমন চিন্তায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন জান্নাতের মা-বাবা। ধারদেনা ও জমানো কিছু টাকা প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে গিয়েই শেষ, এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার অভাবে একমাত্র মেয়ের হৃৎপিণ্ডের ফুটোর আকার বেড়ে চলেছে। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পারায় সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন শিশু জান্নাতের বাবা-মা।
চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য এই নম্বরে- ০১৭১৭৯৭৬৭২১ (বিকাশ) যোগাযোগ করার আহ্ববান জানান শিশু জান্নাতের বাবা জুয়েল।