শিরোনাম

South east bank ad

রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ এর ‘রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট’ পদে চাকরি পেলেন সেই আলমগীর

 প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):

‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’ এমন শিরোনামে বিজ্ঞাপন দেওয়া আলমগীর কবিরকে বুধবার চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

পরে পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে আলমগীরের হাতে রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ এর ‘রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট’ পদের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর উদ্যোগে আলমগীর কবিরের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’-এর পুলিশ প্লাজা বগুড়া ব্রাঞ্চে তাকে ‘রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট’ পদে চাকরি দেন স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির।

গতকাল (০২ ফেব্রুয়ারি) বুধবার রাতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর উপস্থিতিতে আলমগীর কবিরের হাতে নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন স্বপ্নের পরিচালক মো. সামসুদ্দোহা শিমুল।

এর আগে সাদা কাগজে কালো কালিতে প্রিন্ট করা বিজ্ঞাপনটি দেখা যায় শহরের বিভিন্ন দেয়ালে ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে। বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল, ‘শুধুমাত্র দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই। (সকাল ও দুপুর)। প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত, তবে গণিত বিষয় ছাড়া।’

আলমগীর কবির বলেন, মূলত খাবারের কষ্ট থেকেই বিজ্ঞাপন দিয়েছি। অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

বুধবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আসার পর আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, এ মুহূর্তে আমার একটি টিউশনি আছে। সেখানে রাতে পড়াই। তারা আগে নাস্তা দিত। পরে আমি তাদের বলেছি নাস্তার বদলে ভাত খাওয়াতে। কিন্তু রাতে খাবারের সংস্থান হলেও সকাল আর দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা ছিল না।

আলমগীর কবিরের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামে। বহু কষ্টে বগুড়ায় এসে পড়াশোনা করেছেন।

পাঁচ বছর আগে সরকারি আজিজুল হক কলেজে স্নাতকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। পরে স্নাতকোত্তরেও দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন আলমগীর। পড়াশোনা শেষে হন্যে হয়ে একটি ভালো চাকরি খুঁজেছেন, কিন্তু পাননি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: