ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনজন
সীমান্ত সাথী, (রংপুর):
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ট্রেনের সঙ্গে প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহত তিনজনের বাড়ী রংপুরের বদরগঞ্জে। নিহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন।
আজ বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ ট্রেনে বিরামপুর উপজেলার ঘোড়াঘাট রেলঘুন্টি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নের মহিরেরপাড়ার আতিয়ার রহমান একই এলাকার জাম্বুরমোড়ের সুজন মিয়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ এলাকার হাফিজুর রহমান।
এসময় পরিস্থিতি টের পেয়ে দরজা খুলে চানাচুর বিক্রেতা অদক্ষ চালক মাসুম মিয়া পালিয়ে যান। মাসুম বদরগঞ্জ পৌরশহরের যাদুনগর এলাকার চানাচুর বিক্রেতা ইসলাম উদ্দিনের ছেলে। সে নিজেও চানাচুর বিক্রেতা থেকে কারের ড্রাইভিং শুরু করে। তারা ভোরের দিকে বদরগঞ্জ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য জয়পুরহাট বিআরটিএ অফিসে যাচ্ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান ও বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাতটার দিকে একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো ক-১১-২৩৩২) তিনজন যাত্রী নিয়ে জয়পুরহাট বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য যাচ্ছিলো। ঘন কুয়াশায় মধ্যে রেলক্রসিং এর প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে কারের চালক মাসুম মিয়া রেলক্রসিংয়ের ওপর গাড়িটি তুলে দেন।
এ সময় ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছুটে আসছিল। পরিস্থিতি টের পেয়ে চালক মাসুম মিয়া দরজা খুলে সঠকে পড়ে। দ্রুতগামী ট্রেনটি প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কারের ভেতরে থাকা তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
তবে রেলগেটের পাহারাদার সাইফুজ্জামান বলেন, রেললাইনের গেটটির সংস্কার কাজ চলছিল। তাই ট্রেন আসার সময় রশি দিয়ে একপাশের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাইভেটকারের চালক ওই নির্দেশ উপেক্ষা করে রেললাইনের ওপর উঠে যায়।
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, নিহতদের সবার পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।