সৌদি ফেরত যাত্রীর গাড়ীতে ডাকাতি
নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):
শায়েস্তাগঞ্জে একেরপর এক চুরি- ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। এবার ডাকাতের কবলে পড়েছে সৌদি আরব ফেরত যাত্রী কাজল মিয়া ও তার পরিবার।
থানা সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জের সদর উপজেলার ছোটবহুলার মৃত নুর হোসেনের পুত্র সৌদি ফেরত জালাল মিয়া(৪৩) সৌদি আরবে থাকেন। তিনি গত ২৪ জানুয়ারী সৌদি আরব থেকে একটি প্লাইটে রাত ১০ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছেন।
জালাল মিয়াকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করতে তাহার আত্মীয় স্বজন মাইক্রোবাস নোহা যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উপস্থিত হন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পরিবারের লোকজন সহ বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে হবিগঞ্জে যাওয়ার জন্য রওনা দেন।
হবিগঞ্জের জেলার শায়েস্তাগঞ্জ থানাধীন নুরপুর ইউনিয়নস্থ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরাসুন্দাগামী রাস্তার সংযোগস্থল ও সুতাং ব্রীজের মাঝামাঝি স্থান ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর রাত অনুমান ২ টায় আসা মাত্রই ৭ থেকে ৮ জনের একটি ডাকাত দল ডিআই পিকআপ দিয়ে সৌদি ফেরত যাত্রীর নোহা গাড়ীর সামনে ব্যারিকেড দিয়ে নোহা গাড়ীর পথরোধ করে। এসময় নোহাতে বসা প্রবাসী কাজল মিয়া ও তার লোকজনকে মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসী কাজল মিয়ার সকল মালামাল লুন্ঠন করিয়া নিয়ে যায়।
প্রবাসী কাজল মিয়া সবকিছু হারানোর পর তারা বাড়িতে না গিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় গিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের দুই দিন পর শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় দেব এর নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর তদন্ত তদন্ত) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম সহ একদল পুলিশ বাহুবলের দক্ষিণ ডুবাঐ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ডাকাত ইব্রাহিম মিয়া (২০), ও শহীদ মিয়ার ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ রুবেল (২৬), কে গ্রেফতার করেন এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ডিআই পিকআপ ঢাকা মোট্রো-ন-২০-৭১৭৩ গাড়ী ও ডাকাতি ঘটনা সংঘটিত করার সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ১টি লোহার রড লম্বা অনুমান ২ ফুট ৬ ইঞ্চি জব্দ করেন।
পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে প্রবাসীর ২ কেজি ২৫০ গ্রাম নিডো গুড়া দুধের প্যাকেট ১ টি, ট্যাংক ১ প্যাকেট লং, এলাচি, দারুচিনি, বেবি টাওয়াল ২ টি, লজেন্স ১ প্যাকেট, ১ টি টেবিল লাইট, ১ টি কালো রংয়ের টর্চ লাইট, চিপস বক্স ১ টি, বিভিন্ন প্রসাধনীসামগ্রী, ব্ল্যান্ডার মেশিন ১ টি, ১টি চুল কাটার মেশিন, ১ টি কালো রংয়ের টর্চ লাইট, ১৭০ ভারতীয় রুপি, ১টি হটপট, ১টি টেবিল লাইট, ১টি মাল্টিপ্লাগ উদ্ধার করেন ।
আটককৃত আসামিদের মধ্যে দুই জন ডাকাতির ঘটানায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন । পরে তাদেরকে জেল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাত সাড়ে পৌনে ১০ টায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় দেব বলেন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার সারের দিক নির্দেশনায় সদর সার্কেল সারের নেতৃত্বে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রমে ঘটনার পর থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই, এবং তাদের নিকট হতে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।