শিরোনাম

South east bank ad

সশস্ত্র বাহিনীর মতো পৃথক বিভাগের দাবি পুলিশপ্রধান হবেন ‘চিফ অব পুলিশ’

 প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

‘দক্ষ পুলিশ, সমৃদ্ধ দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ স্লোগানে আজ রবিবার (২৩ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে ‘পুলিশ সপ্তাহ’। সকাল ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি পাঁচ দিনব্যাপী (২৩-২৭ জানুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।

আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশে সক্ষমতা অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে বর্তমান সরকার। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে এবারের পুলিশ সপ্তাহে এক গুচ্ছ যুগোপযোগী প্রস্তাব উত্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী কিংবা আর্মড ফোর্সেস বিভাগের মতো পুলিশের আলাদা বিভাগ স্হাপন। পুলিশ প্রধান হবে ‘চিফ অব পুলিশ’। পুলিশে আলাদা মেডিক্যাল কোর স্হাপন।

এর আওতায় পুলিশ চায় মেডিক্যাল কলেজ স্হাপন করতে। এয়ার উইংকে শক্তিশালী করা। প্রতিটি জেলায় একজন এসপির (এসএস) নেতৃত্বে গোয়েন্দা ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা। মাদক নিমূ‌র্ল করাসহ জেলার সব অপরাধের তথ্য সংগ্রহ করবে এই ইউনিট। মাঠ পর্যায়ের সব কার্যক্রম গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসাই এই ইউনিট গঠনের লক্ষ্য। এছাড়া টহলের জন্য ‘সিডান কার’, বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতাল, হাইওয়েতে শক্তিশালী যানবাহন সংযুক্ত করার দাবিও থাকছে প্রস্তাবে।

পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এখন সময়ের দাবিপুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এখন সময়ের দাবি
এছাড়া পদোন্নতি-সংক্রান্ত জটিলতা দূর করা, নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, স্পোর্টস ট্রেনিং কমপ্লেক্স, গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ সুবিধা, বিভিন্ন দূতাবাসে পুলিশ সদস্যদের পদায়ন, জাতিসংঘের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী জনসংখ্যার অনুপাতে পুলিশ সদস্য বাড়ানো, ফৌজদারি মামলার যথাযথ সমন্বয়ের জন্য পুলিশের হাতে প্রসিকিউশন ফিরিয়ে দেওয়া, নতুন ১৮টি অতিরিক্ত আইজিপির পদ ও আটটি গ্রেড-১ পদ সৃষ্টিসহ বেশ কিছু দাবি তোলা হবে।

আধুনিক যুগের অপরাধের ধরন পালটেছে। অপরাধীরা নিত্য-নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হলে অপরাধ দমন করা সম্ভব হবে। পুলিশ পূর্ণাঙ্গ বাহিনীতে রূপ নেবে। এমনিতে পুলিশের ভূমিকা প্রশংসনীয়। জাতিসংঘ শান্িতরক্ষা মিশনেও ভালো করছে পুলিশ। মানুষকে তাত্ক্ষণিক সেবা দিতে পুলিশে চালু করা হয়েছে ‘৯৯৯’ নামের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস। এটা খুবই জনপ্রিয়। পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশে নিয়োগের

ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। পুলিশে নিয়োগ পেতে হলে সাত ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর মধ্যে কোন একটিতে অকৃতকার্য হলে বাদ যাবে। অর্থাত্ মেধা, শারীরিক ও মানসিক সব কিছুতেই যোগ্যরা পুলিশে নিয়োগ পাচ্ছেন। পুলিশে প্রশিক্ষণও আধুনিক করা হয়েছে। এখনো দেশে প্রতিদিন অনেক মাদক আসছে। মাদক নিমূ‌র্ল করতে হলে পুলিশ বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এবারের পুলিশ সপ্তাহে ২০২০ এবং ২০২১ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২৩০ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে এলিট ফোর্স র্যাব থেকে পদক পেয়েছেন ৩৫ জন সদস্য।

অন্যদিকে, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ৭২ ঘণ্টার করোনার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে দরবার না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের সমন্বয়ে আলাদা একটি মতবিনিময় সভার অনুমতি চাইবে পুলিশ সদর দপ্তর। করোনার কারণে পুলিশ সপ্তাহের প্রতিটি অনুষ্ঠান যথাযথভাবে স্বাস্হ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেডে ভার্চুয়ালি উপস্হিত থেকে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট, পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল, দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: