শিরোনাম

South east bank ad

গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামী, শ্বাশুড়ি সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

 প্রকাশ: ২২ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুর রহমান, (নেত্রকোনা):

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে কাকলি আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে আজ (২২ জানুয়ারি) শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় আটক গৃহবধুর শ্বাশুড়ি বেগম আক্তার (৫৫) কে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এদিকে গৃহবধুর বাবা আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে শ্বাশুড়ি, স্বামী, দেবর ও ননাসসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এর আগে শুক্রবার বিকালে কেন্দুয়া থানার পুলিশ উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের রামপুর হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে যায়।

গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য কাকলিকে হত্যা করে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়ভাবে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রচার চালায়। খবর পেয়ে তারা গিয়ে দেখে লাশ উঠানে ফেলে রাখে।

গৃহবধূর স্বজনরা জানান, গত আড়াই বছর পুর্বে কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের সাত্তার মিয়ার মেয়ে কাকলির বিয়ে হয় একই উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের হাসুয়ারি গ্রামের মৃত একদিল মিয়ার ছেলে সুপল মিয়ার সাথে। তাদের দাম্পত্য জীবনে বিভিন্ন সময়ে মোটর সাইকেল কিনতে টাকা চেয়ে চাপ দিতো। এ ঘটনায় দুইবার কাকলিকে বাবার বাড়ি নিয়ে যায়। পরে আবার সুফল মিযা আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় পুনরায় ফিরিয়ে আনে।

গতকাল শুক্রবারও টাকা চেয়ে সুফল ফোন দেয় শ্বাশুড়িকে। পরে এ নিয়ে বাক বিতন্ডা হলে ফোন বন্ধ করে রাখে। এরপর গ্রামের অন্যান্য মানুষের কাছে শুনে বোনের লাশ দেখতে পায় ভাই ও স্বজনরা।

ভাই কামরুল সহ স্বজনরা আরো জানান, এরা কাকলিকে তিনতলার উপরে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলে। পরে আবার লাশ নামিয়ে এনে উঠোনে রেখে দেয়। তারা বোনের সাত মাসের শিশু বাচ্চাটিকে লুকিয়ে রেখেছে বলেও অভিযোগ করে। স্বজনদের দাবী এই ঘটনার সুষ্টু বিচার করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা হোক।

কেন্দুয়া থানার ওসি কাজি শাহনেওয়াজ বলেন, নারী শিশু আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। শ্বাশুড়িকে আটক করেছি। অন্যরা সবাই পলাতক রয়েছে। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: