কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষিপণ্যের রফতানি বৃদ্ধির জন্য অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণয়ন। সারাদেশে এ জিএপি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কর্মকর্তা, চাষি, রফতানিকারকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। যেসব এলাকা থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রফতানির সম্ভাবনা বেশি, আপাতত সেসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাইলট বা পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে হবে।
রোববার অনলাইনে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০ বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করতে হলে কৃষিপণ্যকে রফতানিমুখী করতে হবে। কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য জিএপি মানতে হবে। এটি বিবেচনায় নিয়ে এ নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা-২০২০ বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
সভায় জানানো হয়, এরই মধ্যে প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে ম্যাট্রিক্স আকারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। বিএআরসিকে স্কিমওনার হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে। এছাড়া জিএপি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অংশীজনের সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি ও সার্টিফিকেশন কমিটি গঠিত হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো. রুহুল আমিন তালুকদার, হাসানুজ্জামান কল্লোল, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিজি বেনজীর আলমসহ অন্যান্য সংস্থার প্রধান ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা।