শিরোনাম

South east bank ad

আশাশুনিতে ভোটের ৩দিন পর সীল মারা ব্যালট উদ্ধার!

 প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মিম জামান, (সাতক্ষীরা):

ভোটের ৩ তিন পর সীল মারা ব্যালট উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। গতকাল (০৯ জানুয়ারি) শনিবার সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পিছনে সুভাষ পরামানিকের মৎস্য ঘের থেকে প্রায় ৪৫০টি সীল মারা ব্যালট উদ্ধার করে এলাকাবাসী। উদ্ধারকৃত প্রতিটি ব্যালটে মেম্বর প্রার্থীর ফুটবল প্রতীকে সীল মারা রয়েছে। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী সুমল চন্দ্র দাশ বলেন, গতকাল শনিবার (৮ জানুয়ারি) কাজে যাওয়ার পথে মৎস্যঘেরে ফুটবল প্রতীকে সীল মারা ব্যালট দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দিলে বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে অবহিত করি। তিনি আরো বলেন, ওই কেন্দ্রে ভোট সুষ্ঠু হয়নি। সেখানে ভোটে কারচুপি করে আমাকে হারানো হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রে থাকা পোলিং এজেন্টের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গণনায় দেখা গেছে প্রিজাইডিং অফিসার সঠিকভাবে গণনা করেনি। পোলিং এজেন্টকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে থামিয়ে রেখেছে। ফলাফল সীটে পোলিং এজেন্টকে স্বাক্ষরও করতে দেয়নি। পরে এবিষয়ে ভোট পুননায় গণনার দাবিতে আবেদনও করেছি।

স্থানীয়রা জানান, সুমল দাশকে হারাতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে উত্তম দাশ। তিনি প্রভাব খাটিয়ে টিউবওয়েল ও ফুটবলকে হারাতে ব্যালট চুরির পরিকল্পনা করেন। তিনি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারি প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারদের ম্যানেজ করে এ ভোট চুরির ব্যবস্থা করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মোট ভোটের সঙ্গে বাক্সে থাকা ভোটের সংখ্যা মেলেনি। ফলে স্থানীয়রা প্রিজাইডিং অফিসারসহ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ভোট কর্মকর্তাদের কেন্দ্রের ভিতরে রেখে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। উত্তম দাসের জয়লাভ যে ব্যালট চুরির মাধ্যমে হয়েছে তা ৪৫০টি ফুটবল প্রতীকে সিল মারা ব্যালট পাওয়ার ঘটনায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল শিকদার বলেন, আমিও শুনেছি। তবে ছুটিতে থাকায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার জন্য পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি। তদন্ত হবে। তদন্তে সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু ওইগুলো প্রকৃত ব্যালট না হওয়ায় আমলে নেওয়া হয়নি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: