শিরোনাম

South east bank ad

পৌরসভা ৫০ কোটি টাকার কম্পোস্ট প্লান্টে উৎপাদন হচ্ছে জৈব সার

 প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ জামাল হোসেন, (যশোর):

যশোর পৌরসভার উদ্যোগে নির্মিত কম্পোস্ট প্লান্ট থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। ৮ টাকা কেজি দরে এ সার বিক্রি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এখান থেকে উৎপাদন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ, যা কম্পোস্ট প্লান্টে ব্যবহার হচ্ছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রযুক্তিনির্ভর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর-নড়াইল সড়কের ঝুমঝুমপুর ময়লাখানায় পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। এ কেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন হচ্ছে জৈব সার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ। বর্জ্য থেকে শহরে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় এজন্য ময়লা-আবর্জনা ফেলতে চালু করা হচ্ছে ঢাকনাযুক্ত কনটেইনার ডাস্টবিন। ওই বর্জ্য নেয়া হয় শহরের ঝুমঝুমপুরের ময়লা প্রক্রিয়াকরণ স্থানে।

পৌরসভার কর্মকর্তারা আরো জানিয়েছেন, শহর পরিষ্কার রাখতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ৯০টি কনটেইনার ডাস্টবিন ব্যবহার করার কাজ শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে ১০টি ডাম্পিং ট্রাক ওই স্থান থেকে ময়লা অপসারণ করছে।

এ প্রকল্পের জায়গার চারপাশ ১৫-২০ ফুট উঁচু প্রাচীর করা হয়েছে। প্রাচীরের মধ্যে স্থাপন করা রয়েছে কম্পোস্ট প্লান্ট, প্রি-ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বায়োগ্যাস ডাইজেস্টার, কন্ট্রোল ল্যান্ড ফিল সেইভ ও ইন্ট্রিগেট স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল সেইভ। পাশাপাশি সেখানে অফিস, স্টাফ কোয়ার্টার, ট্রাক রাখার শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ময়লা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে ২০ থেকে ৩০ টন বর্জ্য ডাম্পিং হচ্ছে।

শুধু যশোর পৌরসভা নয়, নিকটবর্তী উপশহর এলাকার বর্জ্যও প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। ১০ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে পর্যায়ক্রমে ডাম্পিং করা হবে ৪৫ টন বর্জ্য। প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের আবর্জনা থেকে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ দিয়ে পরিচালনা হয়ে থাকে প্লান্টের নানা কাজ।

ময়লা রাখার জন্য ঝুমঝুমপুরে ১৩ দশমিক ২৫ একর আয়তনের ময়লা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে গড়ে তোলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হাসান জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে প্রকল্পটি হাতে নেয় যশোর পৌরসভা। এরপর মে মাসে প্রস্তাব পাঠানো হয় এডিবিতে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পরবর্তী সময়ে ব্যয় বেড়ে ৫০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকলেও পরে তা দুই বছর করা হয়, যা শেষ হয়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে।

বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি ও যশোর পৌরসভা।

যশোর পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ জানান, আমাদের কম্পোস্ট প্লান্ট থেকে সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০২ টন জৈব সার তৈরি হয়েছে। ৮ টাকা কেজি দরে ৯৭ টন বিক্রি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পৌরবাসীও দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাচ্ছে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: