শিরোনাম

South east bank ad

এক ভোটের ব্যবধানে ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

 প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. নজরুল ইসলাম, (ময়মনসিংহ):


নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব আলম (বাবুল)। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তিনি উপজেলার ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করে এক ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন।

কেন্দুয়া নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ১০ নং কান্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহাবুব আলম (বাবুল) ৩,৪৮৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী তাপস ব্যানার্জী (নৌকা) পেয়েছেন ৩,৪৮৪ ভোট।

স্থানীয় নেতারা জানান, বাবুল শুধু কান্দিউড়া ইউনিয়নে নয় কেন্দুয়া উপজেলাতেই ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি আরো বলেন,“ বাবুল আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়াতে রাজিবপুরসহ সমগ্র কান্দিউড়া ইউনিয়নবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন এমনকি নির্বাচনী ব্যয়ের সংস্থানও করে দিয়েছেন। অর্থাৎ গতানুগতিক ধারার বাইরে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একটি নির্বাচন হলো কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নে। অর্থ এবং পেশি শক্তির চেয়ে জনগনের স্বতঃস্ফূর্ততা সবসময়ই অধিক শক্তিশালী তা আবারো প্রমাণিত হলো। ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করে বাবুলকে পরাজিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছেন মাইম্যান খ্যাত তাপস ব্যানার্জী, কিন্তু কান্দিউড়ার জনগন তা মেনে নেন নি।”

অন্যরা পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুজ্জামান তালুকদার (আনারস) ১৯৪৮ ভোট ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী জহিরুল ইসলাম (হাতপাখা) ৫৮০ ভোট। বিজয়ী চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম জানান, “এক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হওয়া ভাগ্যের বিষয়। আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় ইউনিয়নবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

এলাকাবাসী জানায়, ৯০ এর দশকের শেষ দিকে ছাত্র রাজনীতিতে তার হাতেখড়ি। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বাবুল ছিলেন একজন প্রতিবাদী, বিপ্লবী ছাত্র রাজনীতির ধারক। ওই সময়ে তিনি ছাত্রদল কর্তৃক সময়ে অসময়ে নির্যাতিত হতেন। কারা বরণ করছেন, আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকেছেন তবুও দমে যান নি। সব সময় ছিলেন তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশে। আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে তখন তিনি আওয়ামী লীগের জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।

কিন্তু কোন দিন জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ উপার্জনের দিকে মনোযোগ দেন নি। এক পর্যায়ে জীবিকার তাগিদে প্রবাসে যান। সততার সঙ্গে প্রবাস জীবন শেষ করে দেশে ফিরে আসেন এবং পুনরায় জনগনের সাথে মিশে যান। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়ন শাখার সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তখন থেকেই তিনি এক অশুভ শক্তির কাছে অসহায় হতে শুরু করেন।

নানা হস্তক্ষেপে তিনি কান্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত হন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর পঞ্চম ধাপের কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জনগনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রার্থী হন। হামলা-মামলার শিকার হয়েও তিনি দমিয়ে যাননি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: