ভোরের কুয়াশায় বটগাছে ঝুলছিল তরুণীর দেহ
সীমান্ত সাথী, (রংপুর):
রংপুরের বদরগঞ্জে বটগাছ থেকে মোসরেফা খাতুন নামে (২০) এক তরুনীর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) কুয়াচ্ছন্ন ভোরের দিকে উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বাংলারহাট মাদ্রাসাপাড়া এলাকায়। দুপুরের দিকে বটগাছের মগডাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মোসরেফা বাংলারহাট এলাকার মোকছেদুল হক ও আতোয়ারা বেগম দম্পত্তির মেয়ে।
পারিবারিক বিরোধের জেরে সে আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে জানায় এলাকার লোকজন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, “অল্প বয়সেই মোসরেফা খাতুনের দুটি বিয়ে হয়েছিল। কোন স্বামীর ঘরেই তাঁর সংসার টেকেনি। এ নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য লেগেই ছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাবার সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। প্রতিবেশীদের ধারণা বাবা-মার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে ক্ষোভ সইতে না পেয়ে সে বটগাছে উঠে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মত্যা করেন।”
সরেজমিন দেখা যায়, নদীর পাড়ে একটি বট গাছের গোড়ায় তাঁর ব্যবহৃত একজোড়া স্যাণ্ডেল ও গাছের অপর একটি ডালে ঝুলছিল মোসরেফার গায়ের চাঁদর। গায়ে শীতের জামা-কাপড় পরাই ছিল। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরের দিকে বটগাছে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে প্রতিবেশী এক নারী তাঁর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। পরে তারা এসে বাড়ির অদূরে ফলীমারী নদীর পাড়ে ওই বটগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় মোসরেফাকে সনাক্ত করেন। তবে এটি আত্মহত্যা বলে প্রতিবেশীরা ধারণা করছে।
এলাকাবাসী মনোয়ার হোসেন ও নোমান মিয়া বলেন, “নিহত মোসরেফার আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। তার মা আতোয়ারা বেগম স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিকের করেন। ভোরের দিকে বাবা মোকছেদুল হকের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে হয়তো সে ক্ষোভে বটগাছের উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।”
বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা যাচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”