চুয়াডাঙ্গায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক বিকাশে খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম এঁর অফিসকক্ষে গত ৩১.১২.২০২১ খ্রিঃ বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় মোঃ হযরত আলী(৪০), পিতা-আব্দুল মান্নান, সাং-চন্দ্রবাস, থানা-দামুড়হুদা, জেলা-চুয়াডাঙ্গা উপস্থিত হয়ে জানান যে, দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা মুচির বটতলা মোড়ে তার একটি বিকাশ/ ফ্লাক্সি লোডের দোকান আছে। গত ২২.১২.২১ তারিখে বিকাশে টাকা পাঠানোর সময় মোবাইল নম্বর ভুল করে ভুলবসত ২৫,০০০/- টাকা অন্য বিকাশ নম্বরে চলে গিয়েছে এবং উক্ত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ আছে। তিনি উক্ত টাকা হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
পুলিশ সুপার তার আকুতি অনুধাবন করে বিষয়টি পুলিশ সুপারের কার্যালয় অবস্থিত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গা’র ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মনিরুল ইসলাম কে হারানো টাকা গুলি দ্রুত উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত এএসআই(নিরস্ত্র)/ মোঃ রজিবুল হক উক্ত অভিযোগের দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা গুলি উদ্ধারের জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ শুরু করেন।
অবশেষে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, চুয়াডাঙ্গা’র চৌকস টিম উক্ত বিকাশ এ্যাকাউন্টধারীকে খুজে বের করেন।
সে জানায় তার সীম বিগত দেড় বছর পূর্বে মোবাইল ফোনসহ হারিয়ে পরবর্তীতে সীম রিপ্লেসমেন্ট করা হয়নি। পরবর্তীতে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের চৌকস টিম সীমটি রিপ্লেসমেন্ট করতঃ উক্ত ২৫,০০০/-টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পুলিশ সুপার হযরত আলীকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় ডেকে তার হাতে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে অদ্য ০৪.০১.২০২২ খ্রিঃ বেলা ১২:৫০ ঘটিকায় ২৫,০০০/-টাকা তুলে দেন।
এসময় হয়রত আলী হারানো টাকা পুনরায় ফিরে পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়েন। সে পুলিশ সুপার এবং সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।