বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রবিবার রাত ৮টার দিকে শহরের মালগ্রাম ডাবতলা মোড়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের নিবির পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ দুইজন হলেন, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৬) ও ৮নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সদস্য মিনহাজ শেখ আপেল (২৪)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, “মালগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও অস্ত্রের মহড়া চলছিল। গত শনিবার বিকেলে রাসেল শেখ নামের শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতিকে অপর পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। রাসেল তখন তার মোটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তার মোটর সাইকেলটি হেফাজতে নেয়।”
ওই ঘটনার জের ধরে রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাসেল ও তার সহযোগীরা ডাবতলা মোড়ে মহড়া দেয়। রাত পৌঁণে ৮টার দিকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ সেখানে পৌঁছলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটলে দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। এরমধ্যে নাজমুল হাসান অরেঞ্জের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ। তাকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। অরেঞ্জের স্ত্রী সোনালী বেগম বাদি হয়ে সোমবার বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রাসেলসহ ৭জনকে আসামী করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান ওসি।”
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত জানান, “রাসেল এক সময় দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন দলের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। গুলিবিদ্ধ দুজন দলের বর্তমানে নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলাকারি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে তারা পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন।”