শিরোনাম

South east bank ad

আ’লীগের বহিস্কারাদেশে কেন্দুয়ার ইউপি নির্বাচন জটিল পরিস্থিতিতে

 প্রকাশ: ০২ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মো. নজরুল ইসলাম, ময়মনসসিংহ

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ এর ৫ম ধাপের নির্বাচন এর আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ৫ই জানুয়ারি ২০২২ অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় গ্রুপিংয়ের প্রেক্ষিতে বহিস্কারাদেশের ফলে কেন্দুয়ায় আগামী দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কালো অমানিশার আবির্ভাবের আশংকা করছেন ত্যাগী নেতারা।

১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ১৪নং মোজাফফরপুর ইউনিয়নে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানসহ মোট তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরীর মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়া, ৫নং গন্ডা ইউনিয়নে বিতর্কিত চেয়ারম্যান সনজু মিয়ার পুনরায় মনোনয়ন পাওয়া, ১০নং কান্দিউড়া ইউনিয়নে জনপ্রিয় ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের মনোনয়ন না পাওয়া, ৮নং বলাইশিমুল ইউনিয়নে জনপ্রিয় ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের মনোনয়ন না পাওয়া ইত্যাদি।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নানা প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৭জনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সর্বাধিক আলোচিতরা হলেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান এবং সাবেক এমএনএ হাদীস চৌধুরীর পুত্রের বহিষ্কার আদেশ এবং গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম ভূইয়া সুমনের বহিষ্কার আদেশ। এতে পরিষদ নির্বাচনের আগ মূহূর্তে কেন্দুয়ার রাজনীতিতে কালো ছায়া নেমে আসলো। এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে ১৩টি ইউনিয়নের নির্বাচনে।

কেন্দুয়া উপজেলাটি আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলার ইউপি ভোটের উপরই অনেকটা নির্ভর করছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল। কিন্তু বর্তমান কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হলে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ পায়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভুইঁয়া বিভিন্ন সভায় বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীকের বিরোধিতাকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না এবং সদ্য বহিস্কৃত জাহাঙ্গীর চৌধুরী সম্পর্কে বলেন জাহাঙ্গীর একজন সাবেক এমএনএ হাদীস চৌধুরীর পুত্র হওয়া সত্তে¡ও কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মজনু চেয়ারম্যানের স্ত্রীর (ঘোড়া প্রতীক) নির্বাচন পরিচালনা করছেন যা কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কোন ভাবেই মেনে নিতে পারে না।

বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার বানোয়াট অভিযোগসহ তার বিরুদ্ধে আনীত নানা অভিযোগ অস্বীকার করে বহিস্কৃত জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করার জন্য নয়, দলের দীর্ঘ দিনের ত্যাগী নেতাদের বহিস্কার করা হয়েছে দলীয় প্রতিপক্ষকে রাজনীতি থেকে বিদায় করার জন্যে। এই বহিস্কারাদেশের কারণে কেন্দুয়ায় আগামী দিনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কালো অমানিশা আবির্ভাব ঘটাবে বলে তিনি আশংকা করছেন। আগামীতে দলের কোনো ক্ষতি হলে এর জন্য বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভুইঁয়াসহ তার অনুসারীরা দায়ী থাকবেন।

বর্তমান ও সাবেক কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদ্বয়ের বিপরীত মুখী ও আক্রমণাত্মক কথার প্রেক্ষিতে বুঝা যায় যে কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কতটুকু ঘোলাটে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: