হঠাৎ হাজির ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এক কিশোরীর (১৪) বিয়ের আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম সেখানে হাজির হন। বন্ধ হয়ে যায় ওই কিশোরীর বাল্যবিবাহ।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে নন্দীগ্রাম পৌরসভার কচুগাড়ি গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বরের বাবাকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন ওই ছাত্রী। কয়েক দিন আগে উপজেলার নিনগ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া (২৪) এর সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে ঠিকঠাক করেন তার অভিভাবকেরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। সে অনুযায়ী কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়। বরযাত্রীরাও এসে হাজির হয় কনের বাড়িতে। এ সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম একদল পুলিশ সঙ্গে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন।
এতে ভেস্তে যায় বিয়ের আয়োজন। অপ্রাপ্ত মেয়ের সঙ্গে বাল্যবিয়ে দেয়ার অপরাধে বরের বাবা সেকেন্দার আলীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে বরযাত্রীদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না বলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মুচলেকা নেয়া হয়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, ১৮ বছরের আগে কোনো মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবে না। তাঁরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।