শিরোনাম

South east bank ad

ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত সানজিদা

 প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):

বিজ্ঞান বিভাগে রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন সানজিদা হক স্নিগ্ধা। গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উচ্ছ্বসিত সদ্য স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে আসা মেধাবী শিক্ষার্থী সানজিদা হক স্নিগ্ধা।

সে জানায়, “পরীক্ষা হওয়ায় আমরা আমাদের মেধার প্রমাণ দিতে পেরেছি। বিশেষ করে আমার স্কুলের শিক্ষকগণের বিশেষ ভূমিকায় ও পিতা মাতার অনুপ্রেরণায় এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়েও যে আমরা এত ভালো রেজাল্ট করেছি, জিপিএ ৫ পেয়েছি। আমি শিক্ষক ও পিতামাতাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ভবিষ্যতে এটি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এখন সামনের পরিকল্পনা হবে ভালো কোনো কলেজে চান্স পাওয়া। ভবিষ্যতে আমার ইচ্ছা আছে আমি একজন ডাক্তার হয়ে মানব সেবা করব। এই অনুভূতি অন্যরকম।”

সানজিদা হক স্নিগ্ধা মনে করেন, “পরীক্ষা হওয়ায় তার মেধা এবং যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পেরেছে। পরীক্ষা না হলে সেটি সম্ভব হত না।”

সানজিদার বড় ভাই মাহবুব উল হক ২০১৫ সালে একই স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৭ সালে নটরডেম কলেজ থেকে জিপিএ -৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। বর্তমানে মাহবুব উল হক, ব্রাক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং ( সিএসিই) শেষ বর্ষের ছাত্র । তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার চন্ডীমন্ডপ এলাকায়।

মহামারীর সঙ্কট পেরিয়ে তাদের কষ্টে অর্জিত এই ফলাফলে গর্বের হাসি ফুটেছে অভিভাবকদের মুখেও। শিক্ষার্থী সানজিদা হকের পাশাপাশি পিতা মোজাম্মেল হক ও মাতা পারভীন হক এর আনন্দের কমতি ছিল না। মেয়ের আনন্দে ও সাফল্যে ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কর্মস্থলে মিষ্টি বিতরণ করেছেন । সানজিদার পিতা বাংলাদেশ পুলিশের ডিএসবি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট জোনের দায়িত্বরত এসআই মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, “অটোপাস সিস্টেম চালু না রেখে বাচ্চাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, এটাই আমাদের জন্য অনেক। আমরা চেয়েছিলাম বাচ্চারা পরীক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে খুশি উপভোগ করবে। সেটাই হয়েছে।”

সানজিদা হক স্নিগ্ধার মা এজন গৃহিণী। তিনি বলেন, “বাচ্চারা অনেক পরিশ্রম করেছে। ওদের সাথে সাথে শিক্ষকরাও অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমরা সবাই আশাবাদী ছিলাম তাদের রেজাল্ট ভালো হবে। রেজাল্ট ভালো হয়েছে, এটাই আমাদের আজকের আনন্দ।”

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডক্টর আলমগীর হোসাইন বললেন, “করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিল। তবু আমাদের ছেলে মেয়েরা নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস করেছে। আমাদের স্কুলে অনলাইন ক্লাস খুব ভালোভাবে হয়েছে। আমাদের মেয়েরা পড়াশোনার ব্যাপারে সবসময়ই সচেতন ছিল। তাই তারা তাদের বাচ্চাদের এই সাফল্যের জন্য অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা সবসময় বাচ্চাদেরকে আমাদের সাথে সমন্বয় করে লেখাপড়ার মধ্যে রেখেছেন।”

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমান (৩১ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিদ্যালয় থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছে ১৭৫ জন। কৃতকার্য ১৭৪ জন। অকৃতকার্য একজন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার শতভাগ ।

ব্যবসা শাখায় ৯৯ দশমিক ৪৩। তাদের মধ্যে ৪৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের জিপিএ সংখ্যা বেশি। মেয়েরা পেয়েছে ২৫ টি। আর ছেলেরা ২১ টি। প্রসঙ্গত: ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের এসএসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তার পরপরই শিক্ষার্থীরা স্কুলে ছুটে যায় তাদের অর্জনের মুহূর্তটি সহপাঠী আর শিক্ষকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে। অভিভাবকরাও শামিল হন তাদের উদযাপনে। অবশ্য কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় অধিকাংশ স্কুলেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা ছিল কম। সীমিত পরিসরে হলেও থেমে থাকেনি তাদের উদযাপন।


বরাবরের মত এবারও এসএসসির ফলাফলের দিন আনন্দে মেতেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের পরীক্ষার্থীরা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: