অভিযান-১০ এর পুড়ে যাওয়া মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহি লঞ্চ অভিযান-১০ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনায় মালিকসহ ২০জনের নামে দায়েরকৃত মামলায় আলামত হিসেবে লঞ্চ ও পুড়ে যাওয়ায়া মালামাল জব্দ করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চটিকে জব্দ করে পুড়ে যাওয়া মালামাল থানায় নিয়ে রেখেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোরে ঝালকাঠির সুগন্ধ্যা নদীতে যাত্রীবাহী অভিযান লঞ্চে অগ্নিকান্ড এবং অর্ধশতাধিক নিহতের ঘটনায় ঝালকাঠি থানায় সোমবার রাতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে পুড়ে যাওয়া এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ ও লঞ্চেরে স্টাফসহ আট জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জন লঞ্চের কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছে।
স্বজনহারা ঢাকার ডেমরার বক্সনগর এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তঁার বোন তাসলিমা আক্তার, ভাগ্নি সুমাইয়া আক্তার, সুমনা আক্তার তানিসা ও ভাইয়ের ছেলে জুনায়েদ ইসলাম পুড়ে যাওয়া লঞ্চের মধ্যে ছিল। তঁারা সবাই নিখেঁাজ রয়েছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে অগ্নিকান্ডে হতাহত হবার ঘটনায় স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে বিচারের দাবিতে মনির হোসেন নামে একজনে মামলা করেন।
মামলার আলামত হিসেবে লঞ্চটিকে জব্দ ও পুড়ে যাওয়া মালামালের বিশেষ অংশ হিসেবে কিছু মালামাল থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয়া হবে। আসামীদেও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দৃশ্যমান গ্রেফতার দেখানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক আব্দুল মালেক জানান, দন্ডবিধির ২৮০,২৮৫,২৮৭,৩০৪(ক), ও ১০৯ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। ঝালকাঠি থানার মামলা নং ১২ তারিখ ২৭/১২/২০২১ । আসামীরা হলেন লঞ্চের অন্যতম মালিক হামজালাল শেখ, দুই মাস্টার রিয়াজ সিকদার ও মোঃ খলিল, দুই ড্রাইভার মাসুম ও কালাম, সুপারভাইজার আনোয়ার, সুকানী আহসান ও কেরানী কামরুল।
মামলায় দহনশীল দ্রব্য নিয়ে বেপরোয়া জাহাজ চালানো এবং অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে ।