স্বাস্থ্যকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা,ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের মানববন্ধন
নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):
হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট সাইফুল ইসলাম (২৮) কে প্রকাশ্যে নিশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যাকারীদের এবং ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সদর হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌরশহরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন (বিএমএ) হবিগঞ্জের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: মুশফিক হোসেন চৌধুরী ও হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাগণ। বক্তারা অনতিবিলম্ব সাইফুলকে হত্যার আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান।
উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় সাইফুল কে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা । নিহত সাইফুল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের বাসিন্দা ও হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের টেকনোলজিস্ট ছিলেন। তাঁর সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সকালে ল্যাবে দুই তরুণের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় তাঁর। এর জের ধরে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়।
থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতালের ল্যাবে দুই ব্যক্তির সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় সাইফুলের। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাঁদের শান্ত করেন ও পরিস্থিতি সামাল দেন। কিছুক্ষণ পর বেলা আড়াইটার দিকে সাইফুল ব্যক্তিগত কাজে শহরের খাজা গার্ডেনে (বিপণি বিতান) যান।
সেখান থেকে কাজ শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই তরুণ শহরের প্রধান সড়কের পাশে প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় এলোপাতাড়ি লাঠির আঘাতে মাথায় চোট পান সাইফুল। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারী তরুণেরা সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পরে আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় সাইফুলকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পাশাপাশি পুলিশ খাজা গার্ডেনের সিসি ক্যামেরা থেকে ঘটনার ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালে সাইফুল হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়োগ পান। তাঁর সহকর্মী ইমতিয়াজ তুহিন বলেন, চাকরির কারণে সাইফুল শহরের অনন্তপুর আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী বলেন, সংগ্রহ করা সিসিটিভির ভিডিও থেকে অপরাধী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা গেছে। তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।