নির্বাচন সহিংসতায় আওয়ামীলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
সুশান্ত কুমার সরকার, (পাবনা):
পাবনায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও পরিবহন ব্যবসায়ী শামীম হোসেন (৩৮)কে গুলি করে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। নিহত শামীম হোসেন সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের নুর আলীর ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর হাটপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে রাতে শামিম নাজিরপুর নীলু মার্কেটের একটি দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এমন সময় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, শামিম গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৪র্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধুর পক্ষে কাজ করে।
এদিকে নৌকা প্রতিকের পরাজিত প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম মধুও দাবি করেন নিহত শামিম তার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। এবারের নির্বাচনে শামিম তার পক্ষে জোরালোভাবে কাজ করেছে। এজন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি শামিমসহ অন্য কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে হাটে গল্প করছিলেন। এসময় অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা এসে কয়েক রাউন্ড গুলি করে চলে যায়। তিনি বলেন, তারা আমাকেই হত্যা করতে এসেছিল। শামিম সামনে পড়ায় সে খুন হয়।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোকনুজ্জামান সরকার জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শক করেছে। গুলিবিদ্ধ শামীমকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়েই পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স হাসপাতালে ছুটে যান, নিহতের আত্মীয়দের সান্তনা দেন এবং ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসন অনুরোধ করেন।
প্রসঙ্গত: হেমায়েতপুর ইউনিয়নের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।