নির্বাচনের দুদিন পর সিলযুক্ত ব্যালট পেপার উদ্ধার
সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দুদিন পর একটি ভোটকেন্দ্র থেকে সিলযুক্ত ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল (২৮ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের বাঘহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ওইসব ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে কালো কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল।
ওই ঘটনায় ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার মো. ছাবেদ আলীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
ছাবেদ আলী বালুরচর হাই স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক। পরে উদ্ধার ব্যালট পেপার বস্তাবন্দী ও সীলগালা করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে নেওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রিজাইডিং অফিসারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে রাণীশিমুল ইউনিয়নের বাঘহাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নির্বাচন শেষে প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করে চলে যান। পরে নির্বাচনের দুদিন পর মঙ্গলবার সকালে ওই কেন্দ্রে ব্যালটপেপার দেখেত পান ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী মাখন মিয়া। পরে প্রিজাইডিং অফিসার ছাবেদ আলীকে খবর দিলে তিনি সেখানে আসেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় এলাকাবাসী হাজির হয়ে প্রিজাইডিং অফিসার ছাবেদ আলীকে অবরুদ্ধ করে।
সেইসাথে ওই কেন্দ্রে পুন:নির্বাচনের দাবি তুলে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এন এম সাজ্জিল সাদিক, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক মো. রেজাউল হকসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যালটপেপার উদ্ধার করে একটি বস্তায় সিলগালা করে নিয়ে যান। সেইসাথে প্রিজাইডিং অফিসার ছাবেদ আলীকে পুলিশ হেফাজতে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রিজাইডিং অফিসারকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে প্রিজাইডিং অফিসার ছাবেদ আলী জানান, ভোট গণনার পর তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ভুলে ব্যালটগুলো রেখে চলে গিয়েছিলাম। খবর পেয়ে সেগুলোই আজ নিতে এসেছিলাম।
শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা আক্তার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রিজাইডিং অফিসার ও ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার ব্যালট পেপার বস্তাবন্দী অবস্থায় সিলগালা করা হয়েছে। হিসাব মিলিয়ে দেখা হবে, সঠিক আছে কি না। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।