লঞ্চে অগ্নিকান্ডে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অসাবধানতা ও অব্যবস্থাকেই দোষলেন ফায়ার সার্ভিস পরিচালক
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ আগুন লেগে ৩৯ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে এর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে এর পরিচালক অপারেশন ও ম্যানটেনেন্স লেফটেনেন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ, সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। রবিবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ।
এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে এর পরিচালক অপারেশন ও ম্যানটেনেন্স লেফটেনেন্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, “অগ্নিকান্ড এমন একটা দুর্ঘটনা, যাতে ক্রাইমসীন আলামতগুলোও নষ্ট করে দেয়। তবে মনে হয়েছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অসাবধানতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে এতো পরিমাণে হতাহত হয়েছে। আগুন লাগার পরে নিবার্পনের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। লাইফ জ্যাকেট ও বয়া পর্যাপ্ত না থাকলেও যা ছিলো তা ব্যবহারে সরবরাহ করা হয়নি। যখন আগুন লেগেছে তারপরেও একঘন্টার বেশি সময় চালিয়েছে। শুরুতেই যদি কোন তীরে ভিড়ানো হতো তাহলে ক্ষয়-ক্ষতি এতো বেশি হতো না। জান-মাল রক্ষা পেতো।”
তিনি আরো জানান, “লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার চেয়ে সবসময় বেশি লোক তুলে। এ লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৪২০জনের। তারা ভয়েস ক্লিয়ারেন্স দিছে ৩১০জনের। এখানেই ১১০জন কম দেখানো হয়েছে। অপরদিকে প্রাপ্ত সংবাদে ৭শ থেকে ১হাজার লোক ছিলো বলে জানান তিনি।”
ফায়ার পরিচালক আরো বলেন, “ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এটা আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। পুরো তদন্ত শেষ করতে আমাদের প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তার পরে আমরা একটা ধারণা দিতে পারব কোন কারনে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি এ্যঙ্কর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হত না। যেহেতু নদী খুব ছোট। কিন্তু সেটা করেনি। যার কারনে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে। এসময় তার সাথে বরিশাল বিভাগীয় ফায়ারসার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভুইয়াসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।”