শিরোনাম

South east bank ad

লঞ্চে ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত

 প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা):

ঘটে যাওয়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনায় এসেছেন গঠিত তদন্ত কমিটির ৭ সদস্য।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইঞ্জিন রুমে কিছু ত্রুটি দেখতে পেয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে এর উপর ভিত্তি করে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলতে চাননি তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. তোফায়েল ইসলাম।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বরগুনা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন লঞ্চে ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সবাই সরেজমিনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ ও দুটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমাদের এখানে যে অভিজ্ঞতা হলো তা কাজে লাগিয়ে বলতে পারবো কি কারণে এ ঘটনা ঘটলো।

এছাড়া প্রথম যে স্থানে লঞ্চটি থামানোর জন্য গিয়েছিল সেখান থেকে অন্য স্থানে আসার কারণ বিষয়ে তিনি বলেন, পুরো বিষয়গুলো আমরা যাচাই করছি। প্রথম যে স্থানে লঞ্চটি গিয়েছিল সেখানকার স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং পাড়ে ধাক্কা লাগার পর যারা উদ্ধার কাজে এগিয়ে এসেছিল তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনার পিছনে প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন- প্রাথমিক ধারণা তো প্রাথমিক। যেহেতু আমি তদন্ত কমিটির একজন সদস্য এবং আহ্বায়ক, তাই এ মুহূর্তে ধারনার ওপর অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করে কিছু বলতে পারি না। সবাই একসঙ্গে বসে কমপাইল করে সিদ্ধান্তে আসবো।

তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কমিটি গঠনের পর আজ আমরা সবাই ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। আমাদের হাসপাতালে এবং বরগুনা যেতে হবে। এছাড়া আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। সব মিলিয়ে যথাসময়ে প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করবো।

তবে লঞ্চে হিসাবের বেশি যাত্রী ছিল কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঘাটের কাগজপত্রে লঞ্চে ৩১০ জনের মতো যাত্রী ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হচ্ছে যাত্রী এর থেকে বেশি ছিল। স্থানীয় মানুষ যারা সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন, তাদের কেউ বলছেন দেড়শত যাত্রী এখানে নেমেছেন, আবার কেউ বলছেন দুইশত মানুষ ওপারে নেমেছে। অর্থাৎ একেক জন একেক রকম কথা বলছেন। সেক্ষেত্রে আমার ধারণা যাত্রী ৩১০ এর বেশি হতে পারে।

লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাউকে পাইনি। মাস্টার ও ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো বন্ধ রয়েছে। আর মালিকের মোবাইল নম্বরও বন্ধ পেয়েছি।

ইঞ্জিন রুমের ত্রুটির বিষয়ে তিনি বলেন, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে কিছু ত্রুটি আমরা পেয়েছি। সেটা কি এবং কেন হয়েছে তার লিংকআপ করতে হবে। কারণ প্রাথমিকভাবে যা পেয়েছি সেটাকে লিংকআপ না করে মূল সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবো না। অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কিনা, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি। কমিটির প্রতিবেদনে সবকিছু উল্লেখ করা হবে।

এদিকে তদন্ত কমিটি লঞ্চটি পরিদর্শনকালে এর ইঞ্জিনরুমে অনেকক্ষণ সময় পার করেন। তারা সেখানে অন্য লঞ্চের ড্রাইভারদের সহায়তাও নেন। সেখানে থাকা একজন ড্রাইভার জানান, ইঞ্জিনের স্যালেন্ডারের হেডের ফায়ারিং কডে একটু ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে।

অপর এক ড্রাইভার জানিয়েছেন, স্যালেন্ডারের হেডে প্রচুর হিট হয়। আর ওভার হিটের সময় সেখান থেকে কোনোভাবে আগুনের ফুলকি বের হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এসব সমস্যা দেখার জন্য ড্রাইভার-গ্রিজারদের সেখানে থাকার কথা। এগুলো মিটারের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমেও বোঝা সম্ভব।

অভিজ্ঞ ড্রাইভারদের মতে, এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মতো একটি নৌ-যান চালনার জন্য একজন করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ড্রাইভার, চারজন গ্রিজার এমনকি একজন ইলেকট্রিশিয়ানও থাকা দরকার।

এমএফ

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: