লঞ্চে অগ্নিকান্ডে নিখোঁজের তালিকা প্রকাশ রেডক্রিসেন্টের
মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):
বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝালকাঠি স্বজনদের খোঁজে আসছেন শত শত মানুষ। লঞ্চে অগ্নিকান্ডের সময় নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজ হয় অনেক যাত্রী।
ঝালকাঠির সুগন্ধা তীরে সেই নিখোঁজদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা। কারো মা বাবা, কারো ভাই বোন, সন্তান হারিয়ে করছেন আহাজারী। জীবিত নয় মৃত অন্তত স্বজনের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরতে চান তাঁরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে দুইদিনে ৫১ জন নিখোঁজের তালিকা করেছে যুব রেডক্রিস্টে সোসাইটির কর্মীরা।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নদী তীরে দুই দিন ধরে নিখোঁজ মানুষের সন্ধানে আসা স্বজনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শতাধিক কর্মী। তাদের সঙ্গে কথা বলে এখন পর্যন্ত ৫১ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যারা এখনো নিখোঁজ।
যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির তালিকা অনুযায়ী নিখোঁজ যাদের নাম পাওয়া গেছে, তারা হলেন, বরগুনার বড়লভগোলা গ্রামের হাকিম শরীফ, পাখি বেগম, নাসিরুল্লাহ, তালতলি উপজেলার নলিমাঠা গ্রামের ইদ্র্রিস, সদর উপজেলা পরীখাল গ্রামের রাজিয়া সুলতানা, নুসরাত জাহান, মির্জাগঞ্জ উপজেলার কিসমত শ্রীনগর গ্রামের জাহানারা বেগম, বামনা উপজেলার লক্ষ্মিপুরা বুকাবুনিয়া গ্রামের স্বপ্নিল চন্দ্র হাওলাদার, সদরের আমতলী সড়কের আবদুল হক, নাহরমান গ্রামের হেনারা, ইব্রাহিম, এনামুল, ঢাকা দক্ষিণ সিটির বাসিন্দা তাছলিমা আক্তার, সুমাইয়া আক্তার মিম, সুমনা আক্তার তানিসা, জোনায়েদ ইসলাম, বরগুনা সদরের মাহিন সরদার, রিমু, মুত্তাসিন, বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার গ্রামের রিনা বেগম, নুসরাত আক্তার লিনা, কুমারখালী গ্রামের মোতাসিম, বামনা উপজেলা ভোলাঘাট গ্রামের মো. হামিদ, বরগুনা সদরের নিলুফা, বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া গ্রামের কৃষ্ণ প্রসাদ, কাশিপুর চৌমাথার আরিফ মৃধা, কুলসুম, পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি গ্রামের পপি, বরগুনা সদরের রিমু, জীবন, ঢাকার উত্তর মাদারটেক সবুজবাগ এলাকার মনোয়ারা বেগম, ঝুমা আক্তার, অহনা, জীবন, ইমন, বরগুনা সদরের রুমা, অহনা, পাথরঘাটার আবাচ্ছুম, বেতাগী উপজেলার গাবতলী গ্রামের মাহিমা, বরগুনা সদরের ইমন, তাছলিমা বেগম, তানিসা, মিম, শারমিন বেগম, আব্দুল্লাহ, আছিয়া, ডলুয়া গ্রামের মনোয়ারা বেগম, ছোটবগি ইউনিয়নের রেখা বেগম, জুনায়েদ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের রিনা, লিমা।
যুব রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির যুবপ্রধান মশিউর রহমান শাহিন বলেন, আমরা দুই দিন ধরে সুগন্ধা নদীর তীরে বরগুনা থেকে আসা স্বজন হারানো মানুষের সঙ্গে কথা বলে এ তালিকা তৈরি করেছি। পুর্নাঙ্গ তালিকা করার পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে তা দেওয়া হবে।