শিরোনাম

South east bank ad

দুই বছরান্তেই বিশ্বকাপের সিদ্ধান্তে দৃঢ় অবস্থান ফিফার

 প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্তের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ফিফার। এমন সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থান নিয়েছে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।

এ বিষয়ে গত সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ভার্চুয়াল গ্লোবাল সামিটে যুক্ত হয়ে এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন তিনি। এ বিষয়ে সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো জনকে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে ২১১ জন সদস্যের মধ্যে ২০৭ জন উপস্থিত ছিলেন।

এমন আয়োজনে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার আয় সাত বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলেও দাবি করেন জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।

ফিফার সমীক্ষা অনুযায়ী, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে ফুটবলের অর্থনীতিই পাল্টে যাবে। ফিফা জানিয়েছে, প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ হলে বিশ্বের সব সদস্য দেশগুলো একই রকম সুযোগ সুবিধা পাবে। সেখানে ব্রাজিলও যা পাবে, ফুটবল মানচিত্রে গুয়ামের মতো অপরিচিত দেশও তাই পাবে।

যদিও এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপ। আর তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছে না ফুটবলের নীতিনির্ধারকরা।

আর্সেনালের সাবেক বস আর্সেন ওয়েঙ্গার বর্তমানে ফিফার ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা তারই মাথা থেকে আসে।

গত সেপ্টেম্বরে ফরাসি এক পত্রিকায় ওয়েঙ্গার বলেছিলেন, ‘এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে ফুটবলের মান ও প্রতিযোগিতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে। এখানে অর্থের বিষয়টি মোটেই মুখ্য নয়।’

তবে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো শুরু থেকেই বলে আসছেন, দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করা হলে দেশগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হবে। এদিকে ২০২৬ সাল থেকে বিশ্বকাপ ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত করতে চাচ্ছে ফিফা।

এদিকে ইনফান্তিনো শুধু দুই বছর পরপরই বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চান না, যৌথ আয়োজকও চান। ফলে যে দেশগুলোতে বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে, সেই দেশগুলো আর্থিকভাবে লাভবান হবে। ১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ প্রতি চার বছর অন্তর আয়োজিত হয়ে আসছে। ১৯৯১ সাল থেকে নারীদের বিশ্বকাপও এভাবেই আয়োজিত হচ্ছে।

২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারগুলো নবায়ন করা হবে। আর সেটাকে সামনে রেখে অনেকেই বিভিন্নভাবে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলোতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। আগামী বছর ৩১ মার্চ দোহায় অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে ২১১ সদস্যের ভোটের ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যতে দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজিত হচ্ছে কি না।
/জেটএন/

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: