ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে শ্রীবরদীর ৫ গ্রামের নিরাপত্তার দাবি
সাঈদ আহম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):
(২৬ শে ডিসেম্বর) শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। প্রচারণার শেষ সময়ে রাতদিন নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সীমান্ত জনপদের ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রানীশিমুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খোরামোড়া, খাড়া মোরা, মাদ্রাসা পাড়া,রাঙ্গা জান ও পূর্ব খারামোরা গ্রামের বাসিন্দারা শেরপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, ওসি শ্রীবরদী থানা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসীরা জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে এ সব গ্রামবাসীর উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বালুজুরি এলাকার প্রভাবশালী এক পরিবার নির্বাচনে হেরে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা নির্যাতন করে। ৬ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো জহরুল হকের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় পশ্চিম খাড়া মুরা, পূর্ব খাড়ামুরা, খাড়া মোরা , রাঙ্গাজান,মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের অবস্থান। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গ্রামগুলোতে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো আলোকিত হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন উন্নত না থাকায় বর্ষা মৌসুমে গ্রামের বাসিন্দাদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। প্রতিবছর ভারত থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতির দলের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় গ্রামবাসীকে।
এসব সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মানুষ হাতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস এ গ্রামগুলোতে। নিজ এলাকায় ভোট কেন্দ্র না থাকায় দীর্ঘ পথ হেঁটে প্রতিটি নির্বাচনে এসব গ্রামের ১৪৭৫ জন ভোটারকে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বালিজুরি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এসব গ্রামগুলোতে বিরাজ করছে আতঙ্ক। একটি সন্ত্রাসী চক্র তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিলে গ্রামবাসীর উপর নির্যাতন হামলা চালাবে বলে প্রচারণা করছে বলে জানায় একাধিক ভোটার। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
৬ নং ওয়াডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো জহুরুল হক বলেন, গতবারের নির্বাচনি পরবর্তী সময়ে আমাদের গ্রামবাসীর উপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। রাস্তাঘাটে হাটবাজারে স্বাভাবিক চলাফেরায় সাধারণ গ্রামবাসীকে বাধা প্রদান করা হয়।
আমরা শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা চাই। খাড়া মোরা গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ জানায়, আমাদের যাতায়াতের কোন পথ না থাকায় বালিজুরি দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। আমরা উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। ভোট আমাদের নাগরিক অধিকার। ইতিমধ্যে একটি মহল প্রচারণা করছে আমাদেরকে ভোট দিতে যেতে দিবে না। আমরা এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সর্বদায় তৎপর রয়েছি। সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার আমরা তাই করব। শ্রীবরদীর মাটিতে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কাউকে করতে দেয়া হবে না। পুলিশ সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করবে।
২৬ শে ডিসেম্বর শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ৯ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। প্রচারণার শেষ সময়ে রাতদিন নির্ঘুম প্রচারণা চালাচ্ছে প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততোই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সীমান্ত জনপদের ৫ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
ইতিমধ্যেই নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় রানীশিমুল ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম খোরামোড়া, খাড়া মোরা, মাদ্রাসা পাড়া,রাঙ্গা জান ও পূর্ব খারামোরা গ্রামের বাসিন্দারা শেরপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহি অফিসার, ওসি শ্রীবরদী থানা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসীরা জানায়, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে এ সব গ্রামবাসীর উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। বালুজুরি এলাকার প্রভাবশালী এক পরিবার নির্বাচনে হেরে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা নির্যাতন করে। ৬ নং ওয়ার্ডের তৎকালীন নির্বাচিত ইউপি সদস্য মো জহরুল হকের উপর একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় পশ্চিম খাড়া মুরা, পূর্ব খাড়ামুরা, খাড়া মোরা , রাঙ্গাজান,মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের অবস্থান। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি গ্রামগুলোতে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো আলোকিত হলেও যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন উন্নত না থাকায় বর্ষা মৌসুমে গ্রামের বাসিন্দাদের পোহাতে হয় চরম দুর্ভোগ। প্রতিবছর ভারত থেকে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসা বন্যহাতির দলের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয় গ্রামবাসীকে।
এসব সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মানুষ হাতির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান ধর্ম অনুসারী আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস এ গ্রামগুলোতে। নিজ এলাকায় ভোট কেন্দ্র না থাকায় দীর্ঘ পথ হেঁটে প্রতিটি নির্বাচনে এসব গ্রামের ১৪৭৫ জন ভোটারকে যেতে হয় পার্শ্ববর্তী বালিজুরি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে।
সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে এসব গ্রামগুলোতে বিরাজ করছে আতঙ্ক। একটি সন্ত্রাসী চক্র তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দিলে গ্রামবাসীর উপর নির্যাতন হামলা চালাবে বলে প্রচারণা করছে বলে জানায় একাধিক ভোটার। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে এসব গ্রামের বাসিন্দারা।
৬ নং ওয়াডের বর্তমান ইউপি সদস্য মো জহুরুল হক বলেন, গতবারের নির্বাচনি পরবর্তী সময়ে আমাদের গ্রামবাসীর উপর ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। রাস্তাঘাটে হাটবাজারে স্বাভাবিক চলাফেরায় সাধারণ গ্রামবাসীকে বাধা প্রদান করা হয়।
আমরা শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা চাই। খাড়া মোরা গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ জানায়, আমাদের যাতায়াতের কোন পথ না থাকায় বালিজুরি দিয়ে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। আমরা উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। ভোট আমাদের নাগরিক অধিকার। ইতিমধ্যে একটি মহল প্রচারণা করছে আমাদেরকে ভোট দিতে যেতে দিবে না। আমরা এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এ প্রসঙ্গে শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা সর্বদায় তৎপর রয়েছি। সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীর নিরাপত্তার জন্য যা যা দরকার আমরা তাই করব। শ্রীবরদীর মাটিতে কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কাউকে করতে দেয়া হবে না। পুলিশ সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে দমন করবে।
এসএমটি