ফেজবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে উধাও কলেজ ছাত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ
মোঃ নজরুল ইসলাম, (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ (২১) ফেসবুকে পরপর ৪টি স্ট্যাটাস দিয়ে দিয়ে উধাও হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বিশেষ অভিযানে দিনাজপুর থেকে উদ্ধার করেছে
ময়মনসিংহ কোতুয়ালি থানা পুলিশ।
রবিবার রাত ৮টায় কোতুয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দ মোবাইলে নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তার পরিবার। তিনি জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বানিয়াবাড়ী এলাকার আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে।
কোতুয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ শাহ কামাল আকন্দ মোবাইলে জানান, শিব্বির আহমেদ তার বাবার কাছে পনের হাজার টাকা চেয়ে ফোন করেছে। ডিজিটাল ডিভাইসের সূত্র ধরে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কোতুয়ালি থানা পুলিশ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদসন্ত শুরু করে।
পরিবার সূত্র জানায়, শিব্বির আহমেদ ময়মনসিংহ শহরের মীরবাড়ি কলেজ রোড এলাকায় একটি মেসে ভাড়া থাকতেন।
তিনি ফেসবুকে সবশেষ স্ট্যাটাসটি দেন ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে। কমিউটার ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর আসছেন বলে পরিবারের সঙ্গে সবশেষ ফোনে কথা বলেন তিনি। এরপর থেকে নিখোঁজ হন।
এর আগে (১৬ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। তারপর ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দেন শিব্বির। স্ট্যাটাসগুলোতে শিব্বির আহমেদ লেখেন, ‘আব্বু আম্মু ক্ষমা করে দিও, আজ বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল, আপু মুশাব্বিরের প্রতি খেয়াল রাইখ’, ‘ভালো থাকবে জায়গা, সুখে থাকবে শহর’, ‘ঘর, পরিবার, জায়গা ক্ষমা করে দিও’ এবং ‘আল
বিদা’। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমোদলাল দাস জানান, বলেন, আমরা শিব্বিরকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করছি। তবে এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বাবা আব্দুল্লাহ আল ফারুক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলে খুব সহজ-সরল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। হঠাৎ কী কারণে ফেসবুকে এ ধরনের পোস্ট দিয়ে নিখোঁজ হলো, তা বুঝতে পারছি না। তাকে খুঁজে পেতে শুক্রবার রাতে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছি। তারা এখনো কোনো খোঁজ দিতে পারেননি। ’
শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি শিব্বির মেস থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই বের হয়। ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে আমরা মূলত তার খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে পাইনি। সে
আত্মহত্যা করার মতো ছেলে নয়। ’
এসএমটি