শিরোনাম

South east bank ad

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বেড়েছে আমানত সংগ্রহ

 প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ডিজিটাল বাংলাদেশের কল্যাণে প্রযুক্তির সহজলভ্যতায় শহরের মতো গ্রামের মানুষও সহজে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছেন। এজেন্ট ব্যাংকিং নামক ব্যাংকিং সেবায় যেমন গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়েছে তেমনি বেড়েছে আমানত সংগ্রহও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে কার্যক্রম শুরুর মাত্র আট বছরে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার ৫৪১টি। এসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় জমা করেছেন সাড়ে ২২ হাজার ২৬১ কোটি টাকার আমানত। হিসাব অনুযায়ী, বছরের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৭০ শতাংশ।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৯টি ব্যাংক। এসব ব্যাংকের এজেন্ট সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৭০টি ও আউটলেটের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৭টি। এসব এজেন্ট ও আউটলেটের মাধ্যমে খোলা হিসাবধারীদের অর্ধেকই নারী। এছাড়া এজেন্টদের মাধ্যমে ৩ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ হয়েছে।

এক বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে রেমিট্যান্স সংগ্রহ বেড়েছে ৯৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। কারণ গত (২০২০) বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ৩৮ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা রেমিট্যান্স এসেছিল এজেন্টের মাধ্যমে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে ৭৪ হাজার ৮৮৩ কোটিতে পৌঁছেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের এজেন্ট আউটলেটগুলোর মধ্যে ২ হাজার ৩৫৮টি শহর এলাকায়, যা মোট আউটলেটের প্রায় ১৩ শতাংশ। বাকি ১৫ হাজার ৭১৯টি গ্রামে। ঋণ বিতরণের দিক থেকে শহর অঞ্চলে বিতরণ করা হয়েছে ৩৬ শতাংশ। বাকি ৬৪ শতাংশ গ্রামে বিতরণ হয়েছে।

আমানত সংগ্রহের দিক থেকে সবার ওপরে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। কারণ মোট আমানতের ৩৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপরেই রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। মোট আমানতের ১৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ সংগ্রহ করেছে ব্যাংকটি। এছাড়া আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও অগ্রণী ব্যাংক আমানত সংগ্রহ করেছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৭৬, ১৩ ও ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। মোট ঋণের ৬৪ শতাংশ ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে। ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে ১৭ শতাংশ। এছাড়া দ্য সিটি ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ হয়েছে যথাক্রমে ১১, ৪ ও ৩ শতাংশ।

এখন ব্যাংকগুলো এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে। কারণ, কোনো জায়গায় শাখা খুলতে হলে ব্যাংকের বড় খরচ চলে যায় ‘পজিশন’ নিতে বা স্টাবলিশমেন্টে। আর মাসে মাসে ভাড়া গোনার পাশাপাশি ব্যাংকের নিজস্ব স্টাফদের বেতন তো আছেই। এর বাইরে ব্যাংকের নতুন শাখা নেয়ার ঝক্কি-ঝামেলাও আছে। এসব বিবেচনায় এজেন্ট ব্যাংকিং করতে বা এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া সহজ।

এক্ষেত্রে ব্যাংকের বাড়তি কোনো খরচ করতে হয় না। সংশ্লিষ্ট এজেন্টই সমস্ত খরচ বহন করেন। ফলে এতে একদিকে কোনো খরচ ছাড়াই ব্যাংকের লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যাও বাড়ছে কোনো খরচ ছাড়াই। আর গ্রাহকরাও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অ্যাকাউন্ট খুললে পাচ্ছেন বিভিন্ন সার্ভিস।

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শুরুটা ব্যাংক এশিয়ার হাত ধরে। এ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনার পেছনে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ভূমিকা অন্যতম। এ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া আর্থিক অন্তভু‌র্ক্তিতে এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এতে সহজে ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে গ্রামের মানুষ।

এসএমটি

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: