শিরোনাম

South east bank ad

জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস ১৪ ডিসেম্বর

 প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

রাশেদ ইসলাম, (জয়পুরহাট):

আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর)। এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় জয়পুরহাট । পাক-হানাদারদের পরাজিত করে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে জয়পুরহাটের ‘পুরনো ডাক বাংলো’ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (প্রয়াত) বাঘা বাবলু স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে জয়পুরহাটকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন। সেদিন জয়পুরহাটের মুক্ত আকাশে পত পত করে উড়েছিল পরম আরাধ্য মহান স্বাধীনতার বিজয় পতাকা। এদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা পাকসেনারা প্রাণভয়ে বগুড়া, নাটোর ও সিরাজগঞ্জের দিকে পালিয়ে যায়। জানা যায়, ৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাকসেনারা গভীর রাতে বগুড়ার সান্তাহার থেকে ট্রেনযোগে এসে দখল করে নেয় তৎকালীন মহকুমা শহর জয়পুরহাটকে।

২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় হানাদার বাহিনীর অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ আর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ। ২৬ এপ্রিল স্থানীয় রাজাকার, আলবদরদের সহায়তায় জয়পুরহাট সদরের কড়ই কাদিপুর গ্রামের ৩৭১ জন হিন্দু সস্প্রদায়ের মৃৎশীল্পিকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করে গুলি করে হত্যা করে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাগলা দেওয়ান। এখানে পাক হানাদার বাহিনীর একটি পরিত্যাক্ত বাংকার এখনও ওই হত্যা যজ্ঞের ভয়াল স্মৃতির সাক্ষ্য বহন করছে। সদর উপজেলার এই পাগলা দেওয়ান গ্রামে ১৮ জুন জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক’শ মানুষকে ধরে এনে তাঁদেরকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এরপর বড় বড় গর্তের ভেতরে তাঁদেরকে পুঁতে রাখা হয়। এসব নির্মম হত্যাযজ্ঞের সাক্ষী হয়ে আছে বিভিন্ন বধ্যভূমিগুলো। বিজয়ের এ দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য জেলা শহরের শহীদ ডা. আবুল কাসেম ময়দানে ৭১ ফুট উচুঁ শহীদ স্মৃতি বিজয় স্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদারদের নিকট থেকে মুক্তির এ দিনটি স্মরণ করে জয়পুরহাটবাসী প্রতি বছর নানা কর্মসূচি পালন করে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন জয়পুরহাট হানাদার মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে আজ (১৪ ডিসেম্বর) পাগলা দেওয়ান ও কড়ই কাদিরপুর বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: