শিরোনাম

South east bank ad

যশোরে ২৪ ঘন্টায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

 প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

গোলাম মোস্তফা মুন্না, (যশোর):

যশোরে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দুই নারীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে। নিহতরা হলো, মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আলামিন (২৯), যশোর শহরের হুশতলা বকচর এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী ময়না খাতুন (২৫), যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের বহাল নগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩২)।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরের যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুদোপুর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে ইজিবাইক চালক আলামিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাঘারপাড়া থানার ওসি ফিরোজ উদ্দিন জানান, আলামিন পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। তিনি গত (৮ ডিসেম্বর) শালিখা থেকে ভাড়া নিয়ে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বুদোপুর গ্রামের একটি লিচু বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দিলে তা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করা হবে।

নিহত ময়নার বোন সাথী খাতুন জানান, তার বোন ময়না খাতুন যশোর এম এম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তারা প্রেম করে দুই বছর আগে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। গত শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় সিরাজুল মারপিট করেন ময়নাকে। বোন সাথী খাতুন বলেন, আমার বোন শিক্ষিত এবং ধর্মভীরু। সে কখনই আত্মহত্যা করতে পারে না। আমাদের ধারণা সিরাজুল তাকে ট্রেনের নিচে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে। যশোর কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর মূল কারণটি জানা যাবে। তবে কেউ অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহত মনোয়ারা বেগম মর্জিনার ছেলে রাকিব হোসেন জানান, রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে দেখি, আমার মায়ের মৃতদেহ বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। জিজ্ঞাসা করলে বাবা বলেন, তোর মা গলায় রশি দিয়ে মারা গেছে। মৃত মর্জিনা বেগমের ভাগ্নে কাজী শরীফ আহমেদ জানান, হঠাৎ রাতে আমরা ফোন পাই। বলা হয় আমার খালা গলায় রশি দিয়ে মারা গেছেন। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যেয়ে দেখি খালাকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। কাজী শরীফ আহমেদ বলেন, খালু শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই আমার খালাকে নির্যাতন করে আসছিলেন। বিষয়টি আমাদের পরিবারের সকলেই জানে। খালা আত্নহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফুলবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই কানু চন্দ্র জানান, ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: