প্রেমের টানে তুরস্কের চিকিৎসক ময়মনসিংহে
বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
প্রেমের টানে তুরস্কের ডাক্তার ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আয়েশা ওজতেকিন আয়েশা ওজতেকিন তুরষ্ক থেকে প্রেমিকের হাত ধরে এসেছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়।
তুরস্কে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাধে পরিচয়, প্রেম অতপর বাংলাদেশে। বললেন ময়মনসিংহের মানুষ অনেক আন্তরিক। এখানে এতো ভালোবাসা পাবো ভাবিনি আমি।
গতকাল শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রিক্সায় করে বাংঙাগালি বধুর সাজে আয়েশা ওস্তেকিন। মুক্তাগাছা পৌর এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাঙালি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয় আয়েশা-হুমায়ুনের বিয়ের আয়োজন। এলাকাবাসীও।
হুমায়ুন রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে ২০১০ সালে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান তুরস্কের আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে পড়াশোনা করতে যান হুমায়ুন কবির।
এরপর ২০১৮ সালে, আনতালিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে চাকরির সুবাদে হাসপাতালেরই প্রধান হিসাবরক্ষক আয়েশা ওজতেকিনের সাথে পরিচয়।
পরিচয় থেকেই মনের লেনাদেনা। সেই চাকরির সুবাদে পরিচয় দুজনের। পরিচয় থেকেই কাছে আসেন এবং জড়ান প্রেমের সম্পর্কে। অবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিতেই সারাজীবনের সঙ্গী করে নেন একে অপরকে।
হুমায়ুন কবির ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর এলাকার হাসান আলী ও হোসনে আরা দম্পতির ছেলে। আর আয়েশা ওজতেকিন তুরস্কের আনতালিয়া শহরের মাহমুদ ওজতেকিন ও সেফদা ওজতেকিন দম্পতির মেয়ে।
হুমায়ুনের বাবা হাসান আলী বলেন, কয়েকদিন হলো সে এখানে এসেছে। ভিন্ন সংস্কৃতির মেয়ে হয়ে কয়েকদিনেই সে যেভাবে আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে তা সত্যিই অকল্পনীয়। পুত্রবধু হিসেবে তাকে পেয়ে আমরা খুশি এবং তাদের দুজনের উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
মা হোসনে আরা বলেন, ছেলের সঙ্গে যখন থেকে আয়েশার সম্পর্ক তখন থেকেই তার সঙ্গে আমি কথা বলতাম ভিডি কলে। তাকে আমার খুবই ভালো লাগত। একজন বাঙালি মেয়েও এতটা মিশতে পারে না, এখানে এসে আমাদের সঙ্গে যতটা মিশেছে।