নন্দীগ্রামে নৌকার সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপের সংর্ঘষ, আহত ১০
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় ২টি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের পন্ডিতপুকুর বাজারে এই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে ভাটরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারীর সমর্থকরা পন্ডিত পুকুর বাজারে পোস্টার নিয়ে প্রচারণা করে। এসময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকী সমর্থকদের সঙ্গে কথাকাটি শুরু হয়।
একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে রাখা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকীসহ উভয় পক্ষের ৮/১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহেল বাকী জানান, বর্তমান চেয়ারম্যানের কর্মীরা আমার অফিসসহ মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাকেও মারধর করেছে।
তবে নৌকার প্রার্থী মোরশেদুল বারী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, আমি বগুড়া শহরে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় কাজে আছি। আমার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা করতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাকীর বিএনপি-জামাতের উস্কানিতে অতর্কিত হামলা করে। আহত ৮-১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমার জনপ্রিয়তায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই ঘটনা সাজিয়ে বলা হচ্ছে হামলা।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।