শিরোনাম

South east bank ad

ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি, বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষও

 প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মোঃ রাজু খান, (ঝালকাঠি):

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ঝালকাঠি জেলায় গত তিন দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে । এর প্রভাবে জেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। কৃষি বিভাগ সুত্রে জানাগেছে, জেলায় এ বছর ৪৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৮২ হেক্টরে আবাদ হওয়া উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ ইতিমধ্যেই কর্তন করে কৃষকরা মাঠ থেকে ধান বাড়িতে তুলে নিতে পেরেছেন। এছাড়া ৩৬ হাজার ৪১৮ হেক্টর জমির স্থানীয় জাতের আমন পাকা ধান নিয়ে ক্ষেতে শুয়ে পরেছে। কৃষকরা জানিয়েছে এই অকাল বৃষ্টিতে শুয়ে পরা ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ ধানে চিটা হওয়া আশঙ্কা করেছে কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চিটা হবে না বলে জানানো হয়েছে।

এছাড়া চলতি মৌসুমে রবি ফসলের আওতায় খেসারী ডাল, মুসুর ডাল, শীতকালিন শাক-সবজি আলু, মিষ্টি আলু, মরিচ, চিনা বাদাম ও গম চাষের জন্য কৃষকরা মাঠ প্রস্তুত করে বীজ ফেলেছে। জাওয়াদ এর প্রভাবে অনাকাঙ্খিত বৃষ্টিপাতে এপর্যন্ত এই সকল ফসলের চাষ হওয়া ১২ হাজার ১৪৭ হেক্টরের আবাদের মধ্যে ৮ হাজার ৯৭ হেক্টরে আবাদ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত এই ফসলের কতোভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা আবহওয়া ভলো হওয়ার পরেই নিরুপন করা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ। জেলার বারইকরণ গ্রামের কৃষক কাজেম আলী হাওলাদার বলেন,‘ এই অকাল বৃষ্টিতে সব ধরনের কৃষির বেস ক্ষতি হয়েছে ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উঠতি আমন ধানের। আমাদের এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে অনেক কষ্ট হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক সাংবাদিকদের বলেন,‘ কৃষকরা মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পরেছে । আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে সাহষ যোগাচ্ছি। দুই দিন বৃষ্টি হলেও আমন ধানসহ অন্যান্য কৃষির তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। অপরদিকে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দক্ষিনের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে গতকাল সোমবার (০৬ ডিসেম্বর ২০২১) সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।

টানা বৃষ্টিতে জন জীবন স্তবির হয়ে পরেছে। বৃষ্টি সাথে সাথে শীতে প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে রয়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ গুলো।

তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও জেলার অভ্যন্তরে নদী গুলোর পানি বৃদ্ধি পায়নি বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানাগেছে। দিন মজুর ইদ্রিস আলী বলেন,‘ শনিবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ায় আমাদের কাজ হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে বড়লোকের কোন সমস্যা হয় না। আমাদের মত গরীবদের না খেয়ে মরতে হয়। রিকশা চালক জয়নাল আবেদিন বলেন,‘ বৃষ্টির মধ্যেও পেট চালানোর তাগিদে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছিলাম। রাস্তা ঘাটে লোকজন কম যা আয় হবে তা দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয়।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: