শিরোনাম

South east bank ad

অসময়ের বৃষ্টিতে আমন ধান ১০ ভাগ, সবজির ৩০ ভাগ ক্ষতির আশংকা

 প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

এম.মিরাজ হোসাইন, (বরিশাল):

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাবে বরিশাল অঞ্চলে অসময়ের বৃষ্টিতে আমন ধান, খেসারী ও মশুর ডাল, গোলআলু ও শীতকালিন সবজীর বড় ক্ষতির আশংকা করা করা হচ্ছে। কৃষি বিভাগ প্রাথমিকভাবে আমন ধান ১০ ভাগ এবং সবজির ৩০ ভাগ ক্ষতির আশংকা করছে। তবে সবচেয়ে বেশী খেসারী ডালের ৮০ ভাগ ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।

জাওয়াদের প্রভাবে গত রোববার (০৫ ডিসেম্বর ২০২১) সারাদিন আকাশ ছিল মেঘলা। সন্ধ্যার পর শুরু হয় বৃষ্টিপাত। গতকাল সোমবার (০৬ ডিসেম্বর ২০২১) বেলা ১২টা পর্যন্ত বেশীরভাগ সময়ে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও মাঝে মাঝে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমান বেশী থাকায় স্বাভাবিক জনজীবন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়।

এদিকে বরিশাল কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্র জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলে এখন ক্ষেতে থাকা আমন ধান আধাপাকা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি কৃষকরা তাদের জমিতে খেসারী ও মশুর ডাল ও গোল আলু বপন করেছেন। এ অঞ্চলে শীতকালীন সবজি দেরীতে আবাদ করায় সবেমাত্র কৃষকরা সবজীর আবাদ কাজ শুরু করেছেন। বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে এসব সবজির বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা রয়েছে।

বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন এ আশংকার কথা জানিয়ে বলেন, গত দুদিন যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তাতে কৃষি জমিতে পানি জমে থাকার সম্ভবনা কম। তবে পানি জমে থাকলে আমন এবং খেসারী ও মশুরী ডাল ক্ষতির মুখে পড়বে।

হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের নরসিংপুর গ্রামের কৃষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, তিনি ১ কানি (১৬০ শতাংস) জমিতে আমন ধান আবাদ করেছিলেন। বেশীরভাগ ধান আধাপাকা হয়েছিল। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে সব ধানগাছ নুইয়ে পড়েছে। এতে আধাপাকা ধান নষ্ট এবং কাচা ধান চিটা হয়ে যাবে। তার গ্রামের সকল আমন চাষীর একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন জয়নাল আবেদীন। নরসিংহপুর গ্রামের আরেক কৃষক মো. হাবিবুর রহমান জানান, তিনি শীতকালীন সবজি হিসাবে পিয়াজ ধনিয়াপাতা, লালশাক, পালংশাকসহ আরো কয়েকপ্রকার সবজি আবাদ করেছিলেন। ক্ষেতে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় এসব সবজি চারা পচে যাবে।

বরিশাল সদর উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেজবাউদ্দীন জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে খেসারী ৮০ ভাগ, মশুর ডাল ও সরিষা ২০-৩০ ভাগ, গম, আলু ২০-২৫ ভাগ, সবজি ৩০ ভাগ, স্থানীয় আমন ধান ১০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রোব ও সোমবারে বৃষ্টিতে গড়ে ৩০ ভাগ ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন তারা। তিনি ক্ষতি লাঘব করতে কৃষকদের দ্রুত পানি অপসারনের ব্যবস্থা এবং এখনই ইউরিয়া সার ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বরিশাল বিভাগীয় কৃষি অধিদপ্তরে অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তারা গত দুদিনে বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পরিপূর্ন তথ্য পেতে আরও ১-২ দিন সময় লাগবে।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: